ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেনের অগ্রিম টিকেট- প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ কম

ট্রেনের অগ্রিম টিকেট- প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ কম

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৩ জুন ২০১৬

ট্রেনের অগ্রিম টিকেট- প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ কম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাত দুটোয় কমলাপুর রেলস্টেশনে হাজির। এক জুলাইয়ের ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কিনতে শনির আখড়া থেকে আসেন হুমায়ূন মিয়া। রাতভর টানা অপেক্ষা। গল্প আর চা খেয়ে কেটেছে সময়। সকাল ৯টায় দেখা হয় তার সঙ্গে। জানালেন, রাতভর কষ্ট হয়েছে ঠিক। কিন্তু লাইনের প্রথমেই আমি ছিলাম। নেত্রকোনার হাওড় এক্সপ্রেসের চারটি টিকেট পেয়ে খুশির যেন শেষ ছিল না তার। জানালেন, মোহনগঞ্জ পর্যন্ত সড়কপথে ভাল কোন সার্ভিস নেই। ট্রেনে যাতায়াত সবচেয়ে সুবিধা। বলেন, টিকেট কাটা হয়েছে। বাড়ি যেতে এখন আর কোন ঝামেলা নেই। রাত ৩টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন মোতালিব মাতব্বর। উদ্দেশ্য ঈদে সপরিবারে বাড়ি যেতে ট্রেনের টিকেট কেনা। সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চারটি টিকেট পেলেন তিনি। টিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় তিনি বললেন, খুবই ভাল লাগছে, এখন আর টেনশন নেই। বুধবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় টিকেটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। তখন চলছিল ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির কাজ। প্রথম দিনে বিক্রি হয় এক জুলাইয়ের টিকেট। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম দিনে বেশিরভাগ মানুষ টিকেট পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম ছিল। আজ বৃহস্পতিবার থেকে চাপ বাড়বে বলেও জানান তারা। এদিকে, টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে পুরো কমলাপুরজুড়ে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। বাসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন যাত্রী পাবেন সর্বোচ্চ চারটি টিকেট। অন্য বছরের মতো এ বছর ৬৫ ভাগ টিকেট থাকছে সাধারণ যাত্রীদের জন্য। মোবাইলেও কাটা যাবে টিকেট। টিকেট নিতে আসা লোকজন জানিয়েছেন, এসি কেবিনের চাহিদা প্রচুর। যোগান কম থাকায় অনেকেই এসি টিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। কেউ কেউ টিকেট কালোবাজারির অভিযোগ করলেও কোন প্রমাণ মেলেনি। যাত্রীদের নিরাপদ টিকেট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারের সংখ্যাও আগের চেয়ে তিনটি বাড়িয়ে ২৩টি করা হয়েছে। নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে আলাদা একটি কাউন্টার। স্টেশনের বাইরে করা হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। ভিআইপি গেটের পাশে স্থাপন করা হয়েছে র‌্যাবের ক্যাম্প। এছাড়াও প্ল্যাটফরমের ভেতরে আরেকটি পুলিশের বুথ স্থাপন করতে দেখা গেছে। ৬ জুলাই ঈদ ধরে পর্যায়ক্রমে অন্যদিনের টিকেট বিক্রি হবে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের ফিরতি যাত্রার টিকেট বিক্রি হবে ৪ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ২ জুলাই যাত্রার টিকেট বিক্রি হবে আজ ২৩ জুন। একই ভাবে ৩, ৪ ও ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট বিক্রি হবে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন। এবার ঢাকার কমলাপুর থেকে দৈনিক প্রায় ৪৩ হাজার অগ্রিম টিকেট বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। এর ২৫ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি হবে। অনলাইনের নিশ্চিত করা টিকেটও সংগ্রহ করতে হবে কমলাপুর থেকে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য (ভিআইপি) ও রেলওয়েকর্মীদের জন্য ৫ শতাংশ করে কোটা সংরক্ষণ করা হবে। কমলাপুর ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেটে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। আর ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, লালমনিরহাট, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে। ঈদের সময় সড়কে যানজটের ভোগান্তি এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রায় অনেকে ট্রেনকেই বেছে নেন। তবে টিকেট না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ থাকে বরাবরই। কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, এবার ঈদের সময়টাতে প্রতিদিন ৩৩টি ট্রেনের ১৮ হাজার টিকেট বিক্রি হবে। তিনি জানান, এবার ৬৫ শতাংশ টিকেট উন্মুক্ত বিক্রির জন্য রাখা আছে। মোবাইল ও অনলাইনে বিক্রির জন্য টিকেট রয়েছে ২৫ শতাংশ। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এবার ঈদের ১০ দিন আগেই অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করা হয়েছে বলে জানান রেল কর্মকর্তা সিতাংশু। সকালে সিরাজগঞ্জের টিকেট না পেয়ে রাজশাহীর কিনেছেন আলী রেজা। তাতেও সন্তুষ্ট তিনি। বলেন, টাকা বেশি গেলেও বাড়ি যাওয়া নিরাপদ হবে। জামালপুরের শোভন শ্রেণীর টিকেটের জন্য রাত ৩টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো পল্লবী নামে এক নারী বলেন, আমার আগে ৭-৮ জনকে টিকেট দেয়া হয়। কিন্তু আমার পালা এলেই বলা হয়, টিকেট শেষ। কিছুক্ষণ বাগ্বিত-ার পর পল্লবী যে টিকেট পেয়েছেন, তা তিন স্টেশন পরের ইসলামপুরের। টিকেট বিক্রিতে ধীরগতি নিয়েও অভিযোগ করেন অনেকে। সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, দিনাজপুর, নেত্রকোনার কাউন্টারে টিকেটপ্রত্যাশী তেমন ছিল না। দুপুর ১টার দিকে অধিকাংশ কাউন্টারই ফাঁকা হয়ে যায়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত ৮৪টি বগি সংযোজন করা হবে। এছাড়া ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-পার্বতীপুর ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে তিন জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চলবে। ঈদ উপলক্ষে এক জুলাই থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও আন্তঃনগর ট্রেন চালু থাকবে। রেল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, তার বাহিনীর ১০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন স্টেশনে। জিআরপি থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, টিকেট কালোবাজারিসহ অনিয়ম ঠেকাতে তার বাহিনীর ১২০ সদস্য কাজ করছে। কালোবাজারি সন্দেহে আট থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অনলাইনে যেভাবে টিকেট কাটবেন ॥ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের শীর্ষ দুটি মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক এ সেবা দিচ্ছে। সেবা পাওয়ার জন্য এ দুটি প্রতিষ্ঠানের যে কোনোটির একটি নম্বর থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ইংরেজী বর্ণে ‘ঞকঊঞ’ লিখে ‘১২০০’ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলে গ্রাহক চার সংখ্যার একটি পিন নম্বর পাবেন। পরে যে কোনো সময় টিকেট কিনতে ওই পিন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। রেলওয়ের ওয়েবসাইটে মোবাইল ফোনে টিকেট কেনার পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, টিকেট কেনার আগে গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করে নিতে হবে। অর্থাৎ, টিকেট কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা মোবাইলে থাকতে হবে। এর পর ১২টি সহজ ধাপে টিকেট কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। প্রথমে ‘*১৩১#’ লিখে ডায়াল করতে হবে। এর পর ধারাবাহিকভাবে অপশনগুলো আসবে। সেগুলো একটার পর একটা বেছে নিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে অপশনে ‘বুক ট্রেন টিকেট’, ‘পারচেজ ট্রেন টিকেট আফটার বুকিং’ ও ‘পারচেজ ট্রেন টিকেট’-এর যে কোন একটি বেছে নিতে হবে। তৃতীয় ধাপে গ্রাহকের পিন নম্বর লিখতে হবে। পরের ধাপগুলোতে যথাক্রমে যাত্রার তারিখ, যাত্রা শুরুর নির্ধারিত স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের নাম, টিকেটের আসনের শ্রেণী, যাত্রীসংখ্যা ও তাদের বয়স বেছে নিতে হবে। সবশেষে আসবে নির্ধারিত টিকেটের দাম। সেটি বেছে নেয়ার পর মোবাইল থেকে সমপরিমাণ টাকা কেটে নেবে অপারেটর। এর পর একটি এসএমএস আসবে, যাতে থাকবে একটি কোড নম্বর। এসএমএসসহ ওই কোড নম্বরটি রেলস্টেশনের নির্ধারিত কাউন্টারে অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নির্ধারিত কাউন্টারে দেখিয়ে টিকেট সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল ম্যানেজার আরিফুজ্জামান বলেন, প্রথম দিন ১ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দিনের টিকেটের চাপ এমনিতেই কম থাকে। তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনের জন্য চাপ থাকে বেশি। তিনি জানান, এবারের ঈদযাত্রায় একটি নতুন ট্রেন চালু ও নতুন ৮৪টি বগি সংযুক্ত করা হয়েছে। অগ্রিম টিকেট হিসেবে প্রতিদিন ৪৩ হাজার টিকেট বিক্রি করা হবে। প্রথম দিনের টিকেট বিক্রি সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম থেকে ৫ দিনব্যাপী রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু ॥ মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তিনটি রুটে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে বুধবার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট বিক্রির এ কার্যক্রমে প্রায় সাত হাজার টিকেট বিক্রির টার্গেট রয়েছে। কিন্তু প্রথম দিন এক-তৃতীয়াংশ টিকেট অবিক্রীত থেকে যায়। পাঁচ দিনব্যাপী এ টিকেট বিক্রি কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ২৬ জুন। এদিকে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কোচ দিয়ে আগামী ২৫ জুন সোনার বাংলা নামে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। অগ্রিম টিকেট বিক্রির কার্যক্রমে নতুন করে এ ট্রেনের টিকেটও বিক্রি শুরু হয়েছে। নতুন ট্রেন চালুর জন্য বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ১৮টি খালি কোচ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে, আগামী ২৫ জুন শনিবার রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন কমলাপুর স্টেশন থেকে। তবে এ ট্রেন উদ্বোধনের জন্য সিডিউল মিললে প্রধানমন্ত্রীরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। শনিবার সকাল ৭টায় কমলাপুর থেকে এ ট্রেনটি মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে ১৬টি কোচ নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ওই দিনই বিকেল ৫টায় পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে লাল-সবুজের রঙে জাতীয় পতাকার আদলে গড়া সোনার বাংলা ট্রেনটি। এ ট্রেনের জন্য বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ১৮টি কোচ ঢাকার উদ্দেশে পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা থেকে পাঠানো হয়েছে। এসব কোচের মধ্যে রয়েছেÑ দুটি তাপানুকূল সিøপার কোচ, তিনটি এসি চেয়ারকোচ, ৭টি শোভন চেয়ারকোচ, দুটি খাবার গাড়ি, একটি পাওয়ারকার ও একটি এসএলআর কোচ। এছাড়া আরও দুটি এক্সট্রা কোচ দেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য। বুধবার সকালে পূর্বাঞ্চলীয় চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ পাহাড়তলীর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের কোচগুলো শেষবারের মতো পরিদর্শন করেন। এমনকি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখার জন্য কোচে বেশকিছু স্টিকার লাগানো হয়েছে যাত্রীদের সচেতনতায়। এর মধ্যে রয়েছেÑ ‘যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না’, ‘সুনির্দিষ্ট ঝুঁড়িতে ময়লা আবর্জনা ফেলুন’, ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সকলের সহায়তা প্রয়োজন’, ‘টয়লেট ব্যবহারে ও পরিচ্ছন্ন রাখতে যাত্রীদের সচেতন হওয়া’। তবে দেশের প্রতিটি ট্রেনের কোচে জরুরী প্রয়োজনে ট্রেন থামাতে শিকল লাগানো থাকে। কিন্তু ট্রেনের কোন যাত্রী যদি অহেতুক এ শিকল টেনে ট্রেনযাত্রার বিলম্ব ঘটান তাহলে ২শ’ টাকা জরিমানার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে একটি স্টিকারে। এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ জনকণ্ঠকে জানান, শেষবারের মতো কোচগুলো পরিপাটি রয়েছে কিনা তা পরিদর্শন করা হয়েছে সকালে। পরিদর্শন শেষে রাতে কোচগুলো কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ও যাত্রীরা ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খুলনায় রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু ২৮ জুন ॥ স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস থেকে জানান, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে খুলনায় রেলওয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২৮ জুন থেকে। খুলনা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে রেলস্টেশন রোডজুড়ে অঘোষিত ট্রাক টার্মিনাল থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে খুলনার স্টেশন মাস্টার আমিরুল ইসলাম জানান, আগামী ২৮ জুন সকাল ৮টা থেকে খুলনা রেলস্টেশন থেকে ঘরমুখো যাত্রীরা ট্রেনে আসা- যাওয়ার টিকেট পাবেন। একজন চারটির বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। তিনি জানান, যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘœ করতে স্টেশন এলাকায় রয়েছে ১৪টি সিসি ক্যামেরা। টিকেট কালোবাজারি রোধ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×