ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গড় আয়ু বেড়ে ৭০ বছর ৯ মাস

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৩ জুন ২০১৬

গড় আয়ু বেড়ে ৭০ বছর ৯ মাস

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের মানুষের গড় আয়ু আরও এক ধাপ বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ৯ মাস। এর আগে ২০১৪ সালে গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ৭ মাস। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার বিবিএসের ‘রিপোর্ট অব বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৫’ শীর্ষক এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, এক বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ২৯ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ৩০ জন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিবিএস’র মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ প্রমুখ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ মাসের কম বয়সের শিশু মৃত্যুহারও কমেছে। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, এখন শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ২০ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ২১ জন। ১-১১ মাস বয়সের শিশু মৃত্যুর হার এখন ৯ জন, যা ২০১৪ সালেও একই ছিল। এ ছাড়া ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার ২০১৪ সালের তুলনায় ৩৮ জন থেকে কমে এসেছে ৩৬ জনে। অপরদিকে দেশে মাতৃ মৃত্যুহারও কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে দেশে মাতৃ মৃত্যুর হার ছিল হাজারে ১ দশমিক ৮১ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ১ দশমিক ৯৩ জন। বিবাহের গড় বয়স, গত পাঁচ বছরে নারীদের বিবাহের গড় বয়স প্রায় স্থিতি অবস্থায় রয়েছে। ২০১১ সালে পুরুষের বিবাহের গড় বয়স ছিল ২৪ দশমিক ৯ বছর এবং নারীদের বিবাহের গড় বয়স ছিল ১৮ দশমিক ৬ বছর। ২০১৫ সালে পুরুষের বিবাহের গড় বয়স হয়েছে ২৬ দশমিক ৪ বছর এবং নারীদের বিবাহের গড় বয়স হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ বছর। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ইন মাইগ্রেশন রেট এসভিআরএস নমুনা এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের জন্য প্রণীত ফলাফল থেকে দেখা যায় নমুনা এলাকায় প্রতি হাজার জনসংখ্যার জন্য ইন মাইগ্রেশন রেট ৫৪ দশমিক ৪ জন এবং এ হার ২০১৪ সালের জন্য ছিল মাত্র ৪০ দশমিক ২ জন। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার, গত ৫ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেশ বেড়েছে। ২০১১ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এ হার হয়েছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী, দেশে প্রতি হাজারে ৯ জন মানুষ কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। নারীদের চেয়ে পুরুয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার বেশি। এ ছাড়া মাত্র ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী এইচআইভি/এইড সংক্রমণের সকল পদ্ধতি সম্পর্কে জানে। ২০১৪ সালে এ হার ছিল ২১ শতাংশ। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এ পরিসংখ্যান দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিবিএস’র তথ্য এখন অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। বিদেশেও এর তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সব তথ্যবলী আমাদের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী তৈরিতে কাজে লাগবে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এ তথ্যগুলো জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তথ্য ছাড়া কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের হার্ট এ্যার্টাকের হার কম থাকায় তাদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে কিছুটা বেশি। সবাই বেশি বছর বাঁচতে চায়। এ জন্য আমাদের সার্বিক বিষয়ে উন্নতি লাভ করতে হবে।’
×