ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরি নিহত

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৩ জুন ২০১৬

পাকিস্তানে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরি নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরি (৪৫) বুধবার করাচীতে দুবর্ৃৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তার গাড়ি লক্ষ্য করে ছয়বার গুলি করা হয়। তিনি টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর দ্য নেশন অনলাইনের। বুধবার করাচীর লিয়াকতবাগে আমজাদ সাবরিকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী আব্বাসী শাহিদ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার দেহে তিনটি গুলি লেগেছিল বলে পুলিশ ও হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে। আমজাদ সাবরির পরিবারটি কাওয়ালি পরিবেশনের জন্য বিখ্যাত। ‘তাজদার ই হারাম’, ‘মেরা কই নেহি তেরি সিওয়া’ ও ‘ভোর দো ঝোলি’র জন্য পরিবারটি স্মরণীয় হয়ে আছে। কাওয়ালি পরিবেশনের ক্ষেত্রে পুরনো ও আধুনিক ধারার মিশেলে নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করেছিলেন সাবরি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশটির অপর খ্যাতিমান শিল্পী পরিবারের সদস্য রাহাত ফতেহ আলী খান একে নিষ্ঠুর কাজ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান এক প্রতিভাবান শিল্পীকে হারাল। তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পকে ধ্বংস করা বা মুছে ফেলা যায় না।’ ফতেহ আলী একে জাতীয় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেন। সাবরির কাওয়ালি পরিবেশনার স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, তিনি খাজা মইনুদ্দীন চিশতি ও আমীর খসরুর রচনাবলী থেকে আবৃত্তি করতেন। তিনি প্রেম, শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সহিষ্ণুতার ললিত বাণী প্রচার করে গেছেন। আমজাদ সাবরি ছিলেন প্রসিদ্ধ কাওয়াল শিল্পী মকবুল সাবরির ভাতিজা। মকবুল সাবরি ২০১১ সালে মারা গেছেন। মকবুল সাবরি ও তার ভাই গোলাম ফরিদ সাবরি ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি একটি কাওয়ালি গ্রুপ গঠন করেন। আমজাদ সাবরি কিছুদিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলে এমকিউএম নেতা ড. ফারুক সাত্তার জানিয়েছেন।
×