ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গণভবন থেকে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক শ’ শাখার যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৩ জুন ২০১৬

সারাদেশে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক শ’ শাখার যাত্রা শুরু

পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এবং তাদের অর্থনৈতিক সঞ্চয় নিশ্চিত করতে বুধবার সারাদেশে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক শ’ শাখা যাত্রা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দুপুরে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী পল্লী সঞ্চয় বাংকের এক শ’ শাখার উদ্বোধন করেন। খবর বাসসর। উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের জাল অনেক সময় দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রের মতো দরিদ্র মানুষকে সহায়-সম্বলহীন, নিঃস্ব করে দেয়। তাই আমরা মাইক্রো ক্রেডিটের দর্শন পাল্টে মাইক্রো সেভিংস বা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর জোর দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্রণোদনামূলক ব্যবস্থাই পারে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যের মূলোৎপাটন করতে। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রতিটি বসতবাড়িকে একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সেই একটি বাড়ি একটি খামারেরই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। যে ব্যাংকের মালিক হচ্ছে যৌথভাবে গ্রামের সমিতিভুক্ত প্রান্তিক আয়ের নারী-পুরুষ ও সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অধীনে দেশের সকল ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে ১টি করে সমিতি গঠিত হয়েছে, এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এটি দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রতিটি বসতবাড়িকে একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমার ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন দেশের ৪০ হাজার ৫২৭টি গ্রামে একটি বাড়ি একটি খামার আড়াই হাজার কোটি টাকা যৌথ মূলধন নিয়ে কাজ করছে, যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ইতোমধ্যেই গ্রাম সমিতি গড়ে তুলে পরিবেশবান্ধব দুগ্ধ, হাঁস-মুরগি ও কৃষি খামার প্রভৃতির মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন বেসরকারী এনজিও’র ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কিছু দিকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনজিওগুলো দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ দিলেও সাপ্তাহিক উচ্চ সুদের হারের কারণে ঋণগ্রহীতার হাতে আর কিছ্ইু থাকত না। ফলে ঋণ শোধ না করতে পেরে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর আমরা জোর দিয়েছি। এ সময় ক্ষুদ্র ঋণ নয়, ক্ষুদ্র সঞ্চয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
×