ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাকিব আহমেদ

আবারও আতঙ্কে সুন্নি জনগোষ্ঠী

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২২ জুন ২০১৬

আবারও আতঙ্কে সুন্নি জনগোষ্ঠী

রামাদি বিজয়ের পর ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ফালুজায় প্রবেশ করল ইরাকের সরকারী বাহিনী। দীর্ঘ দুই বছর পর ফালুজার সরকারী বাসভবনে পতাকা উড়ল ইরাকের। তবে নিরপেক্ষ সূত্রের বরাতে জানা যায় ফালুজা শহরের পশ্চিমে এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আইএস। ইরাকী সৈন্য ও শিয়া মিলিশিয়াদের যৌথ বাহিনী মার্কিন যুদ্ধবিমানের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ এ শহর জয় করল। এ বিজয়ের পর আবারও নতুন করে আতঙ্কিত ইরাকের বসবাসরত সুন্নি জনগোষ্ঠী। এ আতঙ্কে ইতোমধ্যে লক্ষাধিক সুন্নি শহরটি ছেড়ে পালিয়েছে। ইরাকী বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য মসুল। প্রায় ১৫ লাখ অধিবাসীর এ শহরের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী সুন্নি মতাবলম্বী। অধিকৃত ফালুজার অধিবাসীদের সঙ্গে ইরাকী বাহিনীর ব্যবহারের ওপর মসুল অভিযান বহুলাংশে নির্ভরশীল। কারণ ফালুজায় যদি ইরাকী বাহিনী স্থানীয় অধিবাসীদের আইএসের দোসর আখ্যা দিয়ে হত্যা করে তাহলে মসুল উদ্ধারে বেগ পেতে হবে দেশটির সেনাবাহিনীকে। রামাদি, ফালুজা ও মসুল ইরাকের সুন্নি অধ্যুষিত শহর। এ শহরের সুন্নি বিদ্রোহী ও সাদ্দাম হোসেনের সাবেক সেনা সদস্যরা ছিল অতীতে আল কায়েদা ও আইএস প্রতিষ্ঠার অন্যতম সহায়ক শক্তি। ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরী আল-মালিকি সরকারের সুন্নি বিদ্বেষী কর্মকা- এ বিদ্রোহ ও পক্ষ ত্যাগের অন্যতম কারণ। তবে এ তিন শহরের সকল সুন্নি অধিবাসী আইএস কিংবা আল কায়েদাকে সমর্থনের জন্য দায়ী নয়। এ তিন শহরের অধিকাংশ অধিবাসীকেই বাধ্য করা হয় আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের। দীর্ঘ দুই বছর আইএসের অধীনে থাকা এ অধিবাসীদের এখন নতুন আতঙ্ক ইরাকের সেনাবাহিনী।
×