স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ ফুটবলের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ১৯৯৮-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি একজন গতিশীল ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন খেলোয়ার। একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে দেশ ও দেশের বাইরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। মনোয়ার ইতোমধ্যে ফুটবল কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তার বর্তমান লক্ষ্য, কোচ হিসেবে নিজেকে আরও এগিয়ে নেয়া। এ লক্ষে কাজ করে চলেছেন তিনি।
মনোয়ার ২০১২ সালে এএফসি ‘সি’ লাইসেন্স সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করে পেজ হারবার ইন্টারনাশনাল স্কুল এ্যান্ড স্পোর্টস একাডেমিতে ফুটবলে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ২০১৫ সালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ দলের দায়িত্ব। তার কোচিংয়ে ক্লাব সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগ থেকে ‘বি’ লীগ খেলার জন মনোনীত হয়। মনোয়ার আরামবাগ ক্লাব থেকে ‘বেস্ট কোচ’ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে ‘বেস্ট ইয়াং প্রমিজিন কোচ অব দ্য ইয়ার’ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। মনোয়ার আগস্ট ২০১৪ থেকে স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের এ কোচ হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে ব্রান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পেশাল এডুকেশনের অধীনে অটিজম আই ডিসাবেল শিশুদের জন চ্যারিটি কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে মনোয়ার মার্কিন সকার ফেডারেশনেরর অধীনে সি লাইসেন্স করার জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং খুব শীঘ্রই লাইসেন্স করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এর উদ্দেশে রওনা হবেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার মনোয়ার কোন ধরনের বয়স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলে সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত একাদশে জায়গা করে নেন। পরবর্তীতে সে অনুর্ধ ১৬, অনুধ ১৯ এবং নবম সাফ গেমস এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম সাফ গেমস এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের জাতীয় পতাকা বহন করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মনোয়ার বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ফুটবলার। খেলোয়াড় জীবনে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে- ১৯৯৯ সালে অষ্টম সাফ গেমস চ্যাম্পিয়ান, ২০০৩ সালে তৃতীয় সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ান, ২০০২-২০০৩ সালে জিগমে দর্জি মেমোরিয়াল গোল্ডকাপ, ভুটান চ্যাম্পিয়ান এবং ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় সাব ফুটবলে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দুইবার ‘গোল্ড মেডেল’ সম্মাননা লাভ করেন। মনোয়ার বাংলাদেশে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাবে সুনামের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন। উল্লেখযোগ ক্লাবগুলো হলোÑ মোহামেডান স্পোটিং লিমিটেড, ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড, মুক্তিযোদ্ধ সংসদ কেসি, বাড্ডা জাগরণী এবং ইয়াং মেনস ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লীগে ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ান হন এবং ২০০৩ সালে মোহামেডান স্পোটিং লিমিটেডকে এক মৌসুমে তিন শিরোপা এনে দিয়ে ক্লাব ইতিহাসে নাম লেখান। এছাড়াও নিটল টাটা জাতীয় ফুটবল লীগ দুবার, ফেডারেশন কাপ দুবার, ইনডিপেনডেন্ট কাপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: