স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনুমতি না নিয়েই যে সিপিএল (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) খেলতে গিয়ে ছয় মাস আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, সেই সিপিএলেই আবার দ্রুতই খেলতে যাবেন। রবিবার জ্যামাইকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন সাকিব। এবার আর তার ওপর কোন চাপ নেই বোর্ডের। অনুমতিপত্র যে দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। তাই এবার নির্দ্বিধায় সিপিএলে খেলতে পারবেন সাকিব। জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে খেলবেন এ অলরাউন্ডার।
জ্যামাইকা তালাওয়াহসে সাকিবের সতীর্থ হচ্ছেন ক্রিস গেইল, কুমার সাঙ্গাকারা, আন্দ্রে রাসেল, ডেল স্টেইনের মতো ক্রিকেটাররা। চতুর্থ আসরে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে মাঠ মাতাবেন সাকিব। ২৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্ট শুরুর ৩ দিন আগেই ক্যারিবীয়ায় পৌঁছাবেন সাকিব। সাকিবের দলের প্রথম ম্যাচ ২ জুলাই। ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হবে ৭ আগস্ট। মোট ৬ দল অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে। দলগুলো হলো- বারবাডোজ ট্রাইডেন্টস, গায়ানা এ্যামাজন ওয়ারিয়র্স, সেন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিস পেট্রিয়টস, সেন্ট লুসিয়া জোকস ও ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সঙ্গে সাকিবের দল জ্যামাইকা তালাওয়াহস খেলবে। প্রতি দল লীগ পর্বে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রতি দলের বিপক্ষে দুটি করে মোট ১০ ম্যাচ খেলবে। ২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকে ক্রিকেট বিশ্বে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সাকিব আল হাসান পেয়েছেন সাফল্য। সব ফরম্যাটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মুকুট পরা সাকিবকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার দিয়ে দলে ভিড়ায় জ্যামাইকা তালাওয়াহস। বর্তমানে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাতে থাকা বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারের জন্য সিপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মুখোমুখি হন। উক্ত সাক্ষাতকারে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে খেলার বিষয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব বলেন, ‘আমার সহধর্মিণী চায় আমি এই লীগে অংশগ্রহণ করি। কারণ তাহলে আমরা ক্যারিবীয়ার সব দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারব এবং দ্বীপের সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে পারব!’ তার মানে সাকিবের সঙ্গে সঙ্গী হচ্ছেন তার পরিবারও।
এর আগে সিপিএলের প্রথম আসরে সুযোগ পেয়ে রীতিমতো চমক দেখিয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেবার তিনি খেলেছিলেন বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে। ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার না করতে পারলেও বল হাতে দুর্দান্ত থাকা সাকিব এক ম্যাচে ৬ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি শিকার করেন মোট ১১ উইকেট।
সিপিএলের প্রথম আসরে খেলার পর পরবর্তী আসর ২০১৪ সালে খেলার জন্য ডাক পেলেও বোর্ড থেকে অনাপত্তিপত্র না মিলায় সিপিএলে আর খেলা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। আবার অনাপত্তিপত্র না নিয়ে খেলতে যাওয়ায় শাস্তিও পান। জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে ঠিক সময়ে মাঠে নামতে গত কয়েকদিন আগে অনাপত্তিপত্রের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আবেদন করেন সাকিব। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাড়াও মিলেছে বিসিবির পক্ষ থেকে। অনাপত্তিপত্র মিলায় আসন্ন এই টুর্নামেন্টে খেলতে এবার আর কোন বাধা রইল না সাকিব আল হাসানের।
