ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার হকি লীগ সুপার সিক্স, আবাহনী ৪-২ মোহামেডান

আবাহনীর কাছে হেরে ছিটকে গেল মোহামেডান

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২২ জুন ২০১৬

আবাহনীর কাছে হেরে ছিটকে গেল মোহামেডান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লীগ’-এর সুপার সিক্স পর্বে মঙ্গলবার একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একমাত্র ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে খেলে জয়ী হয় আবাহনী ৪-২ গোলে। এ ম্যাচে জিতে শিরোপা লড়াইয়ের দৌড়ে এগিয়ে গেল আবাহনী। আর শিরোপা রেস থেকে ছিটকে পড়ল মোহামেডান। তাদের চেয়ে পয়েন্টে এগিয়ে থাকা দলগুলো (ঊষা, মেরিনার) তাদের পরের ম্যাচগুলোতে টানা হারলে এবং মোহামেডান তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে জিতলেই বরং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা করতে পারে। যদিও সেই সম্ভবনা নেই বললেই চলে। জিতলেও আবাহনীও শিরোপা রেসে সেভাবে থাকার বিষয়টা নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। এ প্রসঙ্গে আবাহনীর কোচ মাহবুব হারুন বলেন, ‘আমরা প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি, তাই জিতেছি। তবে জিতলেও আমরা শিরোপা রেসে নেই। কেননা ঊষার চেয়ে আমরা পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে আছি। এই পাঁচ পয়েন্ট রিকভারি করা বেশ কষ্টসাধ্য হবে।’ ‘দলের বিদেশীরা (পাকিস্তানী) আজ প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। জিমি-রানা-পিন্টু ছাড়া বাকি লোকার প্লেয়াররা সেভাবে ঝলসে উঠতে পারেনি। ফলে টিম কম্বিনেশন ভাল ছিল না। তাছাড়া দলে ছিল চোট সমস্যাও। এ কারণেই আজ হেরেছি।’ ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মোহামেডানের আজিজুল্লাহ্ হায়দার জামাল। ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘যাদের ওপর বেশি ভরসা করেছিলাম সেই বিদেশীরা পুরো লীগেই ভাল খেলেনি। এমন দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না।’ নিজেদের দ্বাদশ ম্যাচে এটা আবাহনীর নবম জয়। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তৃতীয় স্থানে। প্রথম দুটি স্থান ঊষা (৩৪) ও মেরিনারের (৩১)। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা মোহামেডানের দ্বিতীয় হার। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চতুর্থ স্থানে। পুরো খেলায় আবাহনী ও মোহামেডান উভয় দলই চারটি করে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পায়। তবে তা থেকে গোল হয় মাত্র একটি। উভয় দলই গোলের প্রচুর সুযোগ পেলেও আবাহনীই তা বেশি কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করে। ১৫ মিনিটে আবাহনীর প্রথম পিসিতেই লক্ষ্যভেদ করেন কাশিফ আলী। শাফকাত রাসুলের পুশ, বিপ্লবের স্টপের পর কাশিফ হালকা স্কুপে মাঝ জালে বল জড়ান (১-০)। ২২ মিনিটে আবাহনী করে দ্বিতীয় গোল। শাকিল আব্বাসির হিট ডিফ্লেক্ট করে প্রান্ত পরিবর্তন করে দেন রোম্মান সরকার। বলের গতিপথ আগে থেকেই আঁচ করতে পারা রাজিব দাস সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ঠেলে দেন পোস্টে (২-০)। আবাহনী অধিনায়ক ফরহাদ আহমেদ শিটুল দেখিয়েছেন ‘কুল টেম্পারমেন্ট’ আর মোহামেডানের সেরা পারফর্মার ছিলেন জিমি। কিন্তু পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা ভাল খেলতে না পারায় প্রথমার্ধে পিছিয়েই থাকে মোহামেডান। বিরতির পর চাপ সৃষ্টি করে মোহামেডান এবং ৪৩ মিনিটে জিমির গোলে খেলায় ফিরে আসে। সালমান হোসেনের করা থ্রু পাসে জিমি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলত পুশে বদলি গোলরক্ষক ওয়ালিদকে পরাস্ত করেন (১-২)। ৪৮ মিনিটে রোম্মান সরকারের দ্রুতগতির একটি আক্রমণে বল গ্যাপ দিয়ে অতিক্রম করে আবাহনী ডিফেন্স লাইন। এরপর আর দেরি করেননি শাফকাত রাসুল। কোনাকুনি হিটে তিনি বল আছড়ে ফেলেন বোর্ডে (১-৩)। ৫৮ মিনিটে আবাহনীর ডিফেন্ডার বিপ্লব মোহামেডান মিডফিল্ডার মশিউর রহমান ফিরোজকে বক্সের মাঝে অবৈধভাবে রুখে দিলে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় মোহামেডান। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি পাকিস্তানী খেলোয়াড় মোঃ ইমরান (২-৩)। ৬১ মিনিটে রাজিব দাস ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল করলে খেলায় ফেরার সময়ও শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের (৪-২)।
×