ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে নৌমন্ত্রী

ঈদে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিলেই শাস্তি

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২২ জুন ২০১৬

ঈদে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিলেই শাস্তি

সংসদ রিপোর্টার ॥ ঈদের সময় কোন লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিলেই ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ঢাকা নদীবন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর সমূহে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া নদীকেন্দ্রিক ৪৭টি জেলার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট লঞ্চঘাট এলাকায় অবৈধ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নৌ-পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান। জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তিনটি ধাপে পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের কাজ তৃতীয় ধাপে ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। মন্ত্রী জানান, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি জি টু জি এবং এফডিআই ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় জমি ও অবকাঠামো নির্মাণ করে দেয়া হবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব অর্থ এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। সরকারকে সরাসরি কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। তিনি জানান, তিনটি ধাপে পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম ফেইজে ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বহির্নোঙ্গরে ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনয়ন এবং লাইটার জাহাজের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করা হবে। মন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় ধাপে ২০১৮ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্নœ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি জানান, বন্দরটি নির্মাণ হলে এর মাধ্যমে দেশের সম্ভাব্য আয়ের পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও বন্দর সুবিধা ব্যবহার করে আমদানি রফতানি কার্যক্রমের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং শিল্পায়নের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের প্যাসিফিক কনসালটেন্টস ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) কর্তৃক একটি সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। তাদের দাখিলকৃত সমীক্ষা প্রতিবেদনে কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া দ্বীপে এই গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
×