ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতাল

রোগীর ইসিজির টাকা কর্মচারীদেও পকেটে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২২ জুন ২০১৬

রোগীর ইসিজির টাকা কর্মচারীদেও পকেটে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর ইসিজি করেন অনভিজ্ঞ কর্মচারীরা। রোগীর নামে কোন রসিদ ইস্যু না করেই ইসিজি করে তার টাকা পকেটে ভরেছেন তারা। প্রতিদিন গড়ে একাধিক রোগীর ইসিজি করা হলেও সেই টাকা চলে যাচ্ছে কর্মচারীদের পেটে। এতে করে সরকারী হাসপাতালটি প্রতিদিনই রাজস্ব হারাচ্ছে। রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিনটি ওয়ার্ডের কতিপয় কর্মচারী এ ধরনের কাজে লিপ্ত আছে। প্রতিদিন ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী ইসিজি করেন তারা। কিন্তু কোন ধরনের রসিদ দেয়া হয় না। রোগীপ্রতি তারা ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। রামেক হসপাতালের ৩৬, ৩৭, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ধরনের অনিয়ম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার হাসপাতালের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভাটুপাড়া এলাকার জাহানারা (৩০) নামে এক রোগী। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৬৬৬৭৯/৯২। ওই ওয়ার্ডে তার ইসিজি করেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী খুশি বেগম। একইদিন একই ওয়ার্ডে পবা উপজেলার হাট গোদাগাড়ী এলাকার জাহেদা (রেজিস্ট্রেশন সং ৬৫৫১৮/৯১) নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার নইদীঘি গ্রামের সায়েরা (রেজিস্ট্রেশন নং ৬৬৬০১/১৪), রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সিমা (রেজিস্ট্রেশন নং ৬৬৬১২/২৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসু চকপাড়ার মাসেদার (রেজিস্ট্রেশন নং ৬৬৬২৩/৩৬) ইসিজি করেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী খুশি বেগম ও এমএলএসএস সায়েরা। রোগীদের কাছ থেকে তারা ১০০ টাকা করে নিলেও তারা কোন রসিদ দেয়নি। এভাবেই চলে আসছে মাসের পর মাস। শুধু এসব কাজই নয়। ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের প্লাস্টার, ক্যাথেডাস সবই করে থাকেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী ও এমএলএসএসরা। বিনিময়ে তারা হাতিয়ে নেন টাকা। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাদের সহজ উত্তর, চিকিৎসকের নির্দেশেই এ কাজগুলো তারা করে থাকেন। ইসিজির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী ও এমএলএসএসরা করে থাকেন। এতে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রোগীর স্বজনরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. গাজী সাইফুল ইসলাম আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের অভিযোগ তাদের কাছে আছে। ওইসব ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধানরাও অভিযোগগুলো তাদের কাছে করেছেন।
×