ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুরে ঝুট কাপড়ের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২২ জুন ২০১৬

ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুরে ঝুট কাপড়ের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে তৈরি পোশাকে এবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ঝুট কাপড় গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি পণ্যের কয়েকশ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় দিনরাত কাজ করছে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক। সৈয়দপুর রফতানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমরা ঝুট কাপড়ের তৈরি গার্মেন্টস সামগ্রী ভারত ও নেপালে পাঠিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছি। কিন্তু এক বছর ধরে রফতানি করে আমরা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছি। সামনে ঈদ-উল-ফিতরে এ লোকসান পুষিয়ে নিতে আমরা দেশীয় বাজারের জন্য প্রচুর পণ্যের মজুদ গড়ে তুলেছি। এখনও বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। আশা করছি ১৫ রমজানের পর থেকে বেচাকেনা শুরু হবে। সৈয়দপুর শহরে দুইটি গার্মেন্টস সমিতির অধীনে প্রায় তিন শ’ ঝুট গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কাজ করে বলে তিনি জানান। ঝুট কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক। দেশের বাজার দখল করে এসব পোশাক এখন যাচ্ছে ভারত, নেপাল ও ভুটানে। সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া, পুরাতন বাবুপাড়া, গোলাহাট, ঘোড়াঘাট, বাঁশবাড়ি, নিয়ামতপুর, কয়ানিজপাড়া, নয়াটোলাসহ বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। ২০০২ সাল থেকে এর পরিধি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। গড়ে ওঠা রফতানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা জানান, তারা ঢাকার মিরপুর, কালীগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বড় বড় পোশাক কারখানাগুলো থেকে ঝুট কাপড় সংগ্রহ করে এনে এসব পোশাক তৈরি করে থাকেন। এরপর সুচ-সুতার মাধ্যমে দর্জি/কারিগররা তা নিখুঁতভাবে তৈরি করে থাকেন। দেশের গ-ি পেরিয়ে এ পোশাক বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। তারা জানান, এ শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ২০১১-১২ অর্থবছরে স্থানীয় এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ শতাংশ সুদে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেড় কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। কম্প্রেসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি ওয়ালটনের অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ওয়ালটন ফ্রিজে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ‘ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার’। নতুন প্রযুক্তির কম্প্রেসার ব্যবহারের ফলে ব্যাপকভিত্তিক বিদ্যুত সাশ্রয়ের পাশাপাশি ফ্রিজের কম্প্রেসার হয়েছে আরও বেশি টেকসই। আর তাই ফ্রিজের কম্প্রেসারের ১০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ঘোষণা করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আগে ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারে ৮ বছরের রিপ্লেমেন্ট গ্যারান্টি ছিল। ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার ব্যবহারের পর নতুন এই কম্প্রেসারের ক্ষেত্রে আরও দুই বছর বাড়িয়ে এখন দশ বছর করা হলো। অবশ্য গ্যারান্টি দশ বছরের হলেও নির্বিঘেœ বছরের পর বছর চলবে ইনভার্টার কম্প্রেসার। ফ্রিজের ভেতরে খাবারের পরিমাণ এবং রুমের তাপমাত্রার ওপর ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজন অনুযায়ী কম্প্রেসারের গতি কমে, বাড়ে। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে বহুলাংশে। ইনভার্টার কম্প্রেসারের মোটর চালু করতে সাধারণ কম্প্রেসারের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ কম বিদ্যুত লাগে।
×