ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করাচীতে ক্লিনিকে হামলা

পাকিস্তানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২২ জুন ২০১৬

পাকিস্তানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের করাচী শহরের আবুল হাসান ইস্পাহানি এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে তার ক্লিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর ডন অনলাইনের। এটি একই এলাকায় এক মাসের মধ্যে এরূপ দ্বিতীয় হামলা। পুলিশ ও ঐ সম্প্রদায়ের এক মুখপাত্র একথা জানান। মালির উপশহরের এসএসপি রাও আনোয়ার নিশ্চিত করে বলেন, ডা. চৌধুরী আবদুল খালিককে তার ক্লিনিকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্লিনিকটি সাচাল থানার সিকান্দার গথ বস্তি এলাকায় অবস্থিত। আনোয়ার বলেন, তিনি তার মাথায় একটি বুলেটের আঘাত পান। হামলার সময় ঐ এলাকায় কোন বিদ্যুত ছিল না। এটি এক পরিকল্পিত হামলা বলে অফিসার মন্তব্য করেন। ডনের সঙ্গে কথা বলার সময় জামায়াত আহমদিয়ার এক মুখপাত্র নিহত ব্যক্তি তাদের সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন। মুখপাত্র আরও বলেন, এটি একই এলাকায় আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর দ্বিতীয় হামলা। এর আগে মে মাসে একই সম্প্রদায়ের দাউদ আহমদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে করাচীর মেট্রোভিল-২ এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এটিও এক পরিকল্পিত হামলা ছিল বলে মনে করা হয়। আহমদিয়ারা ধর্মীয় চরমপন্থী ও ডানপন্থী শক্তিগুলোর হাতে নির্যাতনের সম্মুখীন। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ডানপন্থী শক্তিগুলোর চাপে আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে সংবিধান সংশোধন করলে দেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই আহমদিয়াদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ডানপন্থী দলগুলো আহমদিয়া বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। এরূপ প্রথম হিংসাত্মক আন্দোলন ১৯৫৩ সালে পাঞ্জাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এতে এ প্রদেশে সামরিক আইন জারি করতে হয়। এরপর সামরিক একনায়ক জিয়াউল হক এ এঞ্জেন্ডাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি আহমদিয়াদের জন্য মুসলিম পরিচয় দেয়া বোআইনী ঘোষণা করে এক অধ্যাদেশ জারি করেন। তাদের জন্য তাদের উপাসনালয়কে মসজিদ বলাও নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১০ সালে লাহোরে ৮৬ আহমদিয়াকে উপাসনকারীকে পাঞ্জাবী তালেবান নৃশংসভাবে হত্যা করে।
×