ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগান শরণার্থী শিবির সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২২ জুন ২০১৬

আফগান শরণার্থী শিবির সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ সোমবার বলেছেন, সেনাবাহিনী উপজাতীয় এলাকাগুলো থেকে জঙ্গীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার পর পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী শিবিরগুলো সন্ত্রাসীদের ‘নিরাপদ আস্তানা’য় পরিণত হয়েছে। খবর ডনের। সামা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে এই শরণার্থী শিবিরগুলো সন্ত্রাসীদের ‘নিরাপদ আস্তানা’য় পরিণত হয়েছে। আর তাই আফগান শরণার্থীদের বিষয়টি এখন পাকিস্তানের নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র শাসিত উপজাতীয় এলাকা (এফএটিএ) বিষয়ে আমরা পুনরায় রিট আবেদন করেছি। কিন্তু আফগান সীমান্ত যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তবে আমাদের উপজাতীয় এলাকাগুলো নিরাপদ থাকতে পারবে না।’ আফগান শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, শরণার্থীদের ধীরে ধীরে ফেরত পাঠানো হবে এবং এই প্রক্রিয়ার জন্য পাকিস্তানেরও একটি কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আফগান প্রতিনিধি দল ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সদস্যদের মধ্যে সোমবারের বৈঠকটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার উন্নয়নের বিষয়ে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে। আজিজ দাবি করেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তান থেকে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী মাদক, অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে এখানে আসে। আজিজ বলেন, ‘এরপর ৯/১১’র ঘটনা ঘটলো এবং তারপর মুজাহিদীনরা আমাদের, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোকে (আফগানিস্তান থেকে) নিক্ষিপ্ত করে আমাদের উপজাতীয় এলাকায় এবং এরপরই আত্মঘাতী হামলা ও সন্ত্রাসবাদের সূচনা হয়। এর ফলে সাত হাজারেরও বেশি পাকিস্তানী নাগরিক নিহত হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার মানে পাকিস্তান কারও যুদ্ধে লিপ্ত হবে না। পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারত প্রতিনিয়তই আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে এবং কাশ্মীর ইস্যু, পরমাণু বোমা ও প্রচলিত অস্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে পাকিস্তান এই আধিপত্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কার্যকরভাবে স্বার্থ রক্ষা করছে।’
×