ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্প্রদায়ের নামে বিভেদ ছড়ানো কেন? -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২২ জুন ২০১৬

সম্প্রদায়ের নামে বিভেদ ছড়ানো কেন? -স্বদেশ রায়

গুপ্তহত্যা গত কয়েক সপ্তাহে বেড়েছে। কম্বিং অপারেশন শুরুর প্রথম দিনও একটি ঘটনা ঘটেছিল তারপর থেকে এ কয়দিন অবস্থা ভাল। অবস্থা ভাল বলে উন্নতি হয়েছে বলা ঠিক হবে না। কারণ যারা এ গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে তারা মরিয়া হয়ে এ কাজ করছে। এই জামায়াত-বিএনপি ২০১৩তে কী করেছিল তা সবার মনে আছে। আবার ২০১৩ থেকে রাজীব হত্যার মধ্য দিয়ে তারা গুপ্তহত্যাও শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াত নেতা ও এক সময়ের শিবিরের সভাপতি তাহের প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বলেছিল, আমাদের একটি বিশেষ ফোর্স আছে তাদের আমরা সময়মতো মাঠে নামাব। এদের এক সময়ে পেট্রোলবোমা হাতে দেখা গেছে। এখন চাপাতি হাতে দেখছে দেশের মানুষ। তারা প্রথমে বেপরোয়াভাবে মানুষ হত্যায় নেমেছিল, ভেবেছিল মানুষ হত্যা করে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করতে সমর্থ হবে। পারেনি। শেখ হাসিনা কঠোরভাবে শুধু তাদের দমন করেননিÑ তিনি বিচারও প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এখানে উল্লেখ্য, যাদের সাজা কার্যকর হয়েছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তাদের প্রত্যেককে নিশান-এ পাকিস্তান পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের নিশান কমিয়েছেন। ১৯৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের নিশান বাড়তে থাকে। তারা গর্তের ভেতর থেকে বের হয়ে পাকিস্তানী নিশান নিয়ে সগর্বে এগিয়ে চলে। দেশের মানুষ তখন সাহস করে কিছু না বললেও জানত এরা দেশদ্রোহী, এরা পাকিস্তানী নিশান। যা হোক, এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তারা বুঝতে পেরেছে, শেখ হাসিনা বিচার করবেনই। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে জামায়াত-বিএনপির আর এ ধরনের কোন কোন চিন্তা নেই। সে সমর্থও তাদের নেই। এখন তারা এই গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করছে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা ব্যর্থ করার জন্য। শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা মানেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। শেখ হাসিনার সাফল্য আমরা বুঝতে না পারলেও শত্রুরা ঠিকই বুঝেছে। শেখ হাসিনার নিজের অবস্থানটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন স্থানে তিনি নিয়ে গেছেন যে- টেকনিক্যাল প্রয়োজনে আমেরিকাকে শেখ হাসিনার পাশে থাকতেই হবে, তাই তারা তাকে পছন্দ করুক আর নাই করুক। এশিয়ায় আমেরিকার সব থেকে বিশ্বস্ত মুখ জাপান, সে জাপান শেখ হাসিনার সরকারকেই পছন্দ করছে বিনিয়োগের জন্য। তারা এখন মনে করছে শেখ হাসিনাই স্থিতিশীলতা দিতে পারেন বিনিয়োগের জন্য। অন্যদিকে এশিয়ার দুই পরাশক্তি চীন এবং ভারতের সঙ্গে সমানতালে বন্ধুত্ব রেখে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। এর ভেতর এই এলাকার রাজনীতিতে আরেকটি নতুন মোড় নিয়েছে তা হলো সৌদি আরবের সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক। এতদিন সৌদি আরব ছিল এই এলাকায় পাকিস্তানের বন্ধু ও বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীদের বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফরের কিছু পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফর করেছেন। শেখ হাসিনার এই সৌদি সফরের ভেতর দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, সৌদি আরব আর শুধু বাংলাদেশের মৌলবাদের পক্ষে থাকবে না। বরং তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সহায়ক রাজনীতির সঙ্গে থাকবে। শেখ হাসিনা যখন এ সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছেন এ সময়ে পাকিস্তানের মরিয়া হয়ে ওঠার কথা এ এলাকার এই রাজনীতিতে। মরিয়া হয়ে এখন শুধু একটি কাজই করার আছে যাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়, শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে মানুষ ভীতু হয়ে পড়ে। কারণ একটি ভীতু জনগোষ্ঠী কখনই বড় কিছু করতে পারে না। সাহসী জনগোষ্ঠীই যুগে যুগে জয়লাভ করেছে, পৃথিবীর কল্যাণ করেছে। তাই শেখ হাসিনার সরকারকে অস্থিতিশীল ও জনগোষ্ঠীকে ভীতু করে তোলার জন্য বাংলাদেশের পাকিস্তানী শক্তি এখন গুপ্তহত্যায় নেমেছে। এই গুপ্তহত্যার ভেতর দিয়ে তারা দেশের তরুণ সম্প্রদায় যারা নতুন আলোর দিশারী ছিল তাদের অনেকখানি থামাতে পেরেছে, কেউ কেউ দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তারা ইউরোপ, আমেরিকায় চলে গেছে। এখানে তারা কোন ধর্ম ও গোত্র বা সম্প্রদায়কে বড় করে দেখেনি, তারা দেখেছে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা যায় কীভাবে? এবারের গত কয়েক মাসে তাদের অভিযানে দেখা যাচ্ছে, বিদেশী নাগরিক, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু বা প্রচারক যেমন, মসজিদের ইমাম, যাজক, ভিক্ষু, পুরোহিত, সেবায়েত এদের হত্যা করছে। আবার তেমনি পুলিশকে ভীতু করে তোলার জন্য পুলিশের স্ত্রীকে হত্যা করছে। মুনতাসীর মামুনের ভাষায় বলা যায়, ‘বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানীরা’ বাঙালীদের হত্যা করছে। এই হত্যাকা- কারা চালাচ্ছে সেটা খুব সহজে বের করা যায় যদি বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। কারণ এর আগে তিনি অফিসে বসে দেশজুড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এটা তারই একটি ধারাবাহিকতা। কিন্তু রাজনীতির কিছু কৌশল আছে, বাস্তবতা আছে। বেগম জিয়ার এখন স্বাভাবিক রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটছে। এখন তাকে এ ধরনের কোন অভিযোগে গ্রেফতার করলে সেটা তারই লাভ হবে, কিছুটা জীবন দেয়ায় সাহায্য করা হবে তাকে। বরং কিছুটা সময় নিয়ে তার রাজনীতির স্বাভাবিক মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হতে দেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। এ কারণেই মূল আসামি বেগম জিয়াকে গ্রেফতার না করে শেখ হাসিনাকে কম্বিং অপারেশন চালাতে হচ্ছে। সরকার যখন কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সহায়তায় এ সময়ে দেশের মানুষেরও কিন্তু দায়িত্ব আছে। দেশের সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন সবাইকে এখন একত্রে মাঠে নামা প্রয়োজন। এখানে ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে মাঠ দখল করা দরকার। প্রয়োজনে সামাজিক ও রাজনৈতিক মিলিত উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা বসানো দরকার। ১৪ দল ঘোষণা দিয়েছিল তারা সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গড়ে তুলবে মহল্লায় মহল্লায়। কিন্তু তার পরে অনেক দিন কেটে গেল। সেভাবে উদ্যোগ নেই। কেন এ উদ্যোগ নেই শেখ হাসিনাকে তা খুঁজে দেখতে হবে। ১৪ দলের মুখপাত্র একজন মন্ত্রী। তাঁর কাঁধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। তিনি যদি মনে করেন সময় দিতে পারছেন না- তাহলে মন্ত্রী নন এমন কাউকে সে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তিনি যদি সৎ ও যোগ্য হন- বয়স কম হলেও ক্ষতি নেই। শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন ও মেয়র ইলেকশনের দায়িত্ব ড. রাজ্জাক ও কর্নেল ফারুক খানকে দিয়েছিলেন। তারা তো সফল হয়েছেন। এখন কাজ ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা। কালক্ষেপণ না করে তাই যার যার অবস্থান থেকে এখন যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়া যাবে ততই কিন্তু পাকিস্তানী শক্তি পিছু হটতে বা পরাজিত হতে বাধ্য হবে। অন্যদিকে দেশের এই সঙ্কটকালে কেউ ধর্মের নামে, সম্প্রদায়ের নামে দেশের প্রগতিশীল শক্তির ভেতর বিভেদ আনবেন না। সম্প্রতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত পিটিআইকে যে সাক্ষাতকার দিয়েছেন, যার ভেতর দিয়ে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে বলেছেন। এটা শুধু অন্যায় নয়, পাকিস্তানী নিশানের মতোই তিনি ভারতীয় নিশান হয়ে গেছেন। আর দুই প্রতিক্রিয়াশীল কিন্তু শেষ পর্যন্ত একে অপরের সহায়ক। দুজন দুজনের বিরুদ্ধে বলেন ঠিকই কিন্তু তাদের কাজের ফল একই এ্যাকাউন্টে জমা হয়। রানা দাশগুপ্তের এ বক্তব্য বাস্তবে, জামায়াত-বিএনপি যা চাচ্ছে সেটাকেই সাহায্য করেছে। রানা দাশগুপ্ত অথচ গুলি বন্দুকের নল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে বুঝতে পেরেছেন, তাই এখন বলছেন, তিনি ওই কথা বলেননি। কিন্তু পিটিআই বিবিসিকে স্পষ্ট বলেছে, রানা দাশগুপ্তের বক্তব্য তারা সঠিকভাবে প্রচার করেছেন। রানা দাশগুপ্তের এ বক্তব্য হিন্দু কমিউনিটির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়েছে। কারণ যিনি দশ হাতে বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষা করে আসছেন সেই শেখ হাসিনাকে তিনি অপমান করেছেন। শেখ হাসিনা নির্মোহভাবে যোগ্যতার মূল্য দিয়ে সবাইকে সমান অবস্থানে নিয়ে গেছেন। কোন সম্প্রদায়ের প্রতি কোন নেতিবাচক দৃষ্টি দেননি, এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এখন যদি বাংলাদেশে রানা দাশগুপ্তের প্রতি কেউ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা মাইনরিটিদের যেভাবে ক্ষমতায়ন করেছেন ভারতে কি সেভাবে মাইনরিটিদের ক্ষমতায়ন হয়- রানা দাশগুপ্ত উত্তর দিতে পারবেন? নিতে পারবেন সে চ্যালেঞ্জ? শুধু তাই নয়, রানা দাশগুপ্ত এই বক্তব্যের মাধ্যমে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করেননি, তিনি ড. আনিসুজ্জামান, মুনতাসীর মামুন, মফিদুল হক, ড. সারোয়ার আলী, শাহরিয়ার কবির এমনকি প্রয়াত ওয়াহিদুল হকসহ হাজার হাজার প্রগতিশীল বাঙালীকে অপমান করেছেন। অপমান করেছেন বাংলাদেশের বহমান প্রগতিশীল আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে। যারা জামায়াত-বিএনপির সেই হিন্দু নির্যাতনের সময় জীবন বাজি রেখেছেন। এবং সকল বিপদ আপদে পাশে আছেন। শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন জেল খেটেছেন ওই প্রতিবাদের কারণে। রানা দাশগুপ্তের অসুবিধা সহজে বোঝা যায়। তিনি কুয়োর ব্যাঙ, সাগরে এসে পড়েছেন। আসলে চট্টগ্রাম জজকোর্টের সাধারণ উকিল হঠাৎ করে শেখ হাসিনার বদান্যতায় জাতীয় রাজনীতি বা জাতীয় ফোরামে চলে এসেছেন। এখন তাল সামলাতে পারছেন না। গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ ধরনের কাজ করে চলছেন। যার কারণে এখন মুনতাসীর মামুন প্রমুখ অনেকটা বিমুখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের কর্মকা- থেকে। এমনকি এখান থেকে কয়েক মাস আগে আমি ছোট ভাই সুভাষ সিংহ রায়কে টেলিফোন করে বলেছিলাম, ‘সুভাষ, লেবু বেশি চটকানো হয়ে যাচ্ছে না? এর পরে তো তিতো হয়ে যাবে। তুমি আমাকে বলো না, সংখ্যালঘুদের জন্য ১৯৪৭ এর পর থেকে এ পর্যন্ত শেখ হাসিনার থেকে কে বেশি করেছেন?’ তখন সুভাষ আমাকে রানা দাশগুপ্ত সম্পর্কে যে তথ্য দেয় তা আমি এখানে লিখব না। তবে আমি বলব, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ তাদের নেতা বদল করুক। বাংলাদেশে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা জাতীয় কর্মকা-ে ছাত্রজীবন থেকে আছেন এমন বহু শিক্ষিত ব্যক্তি এই কমিউনিটিতে আছেন। তাদের ভেতর থেকে নেতা তৈরি করুন। কারণ এটা তাদেরও দেশ। তাদেরও এখানেই শক্ত হয়ে থাকতে হবে। বাবুল আখতার যেমন স্ত্রী হারিয়েও চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাদেরও তেমনি আঘাত সয়ে আরও শক্ত হতে হবে। তা ছাড়া একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, নেতৃত্বে যারা আছেন এরা হয়ত কলকাতায় ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন কিন্তু দেশের দেড় কোটি হিন্দুর এক কোটি ২৫ লাখের সে সমর্থ নেই। তাদের ভারতে গেলে থাকতে হবে রেল লাইনের ধারের বস্তিতে না হয় পাড়ি দিতে হবে আন্দামানে। এই ভুল আর নয়। ’৪৭ থেকে নেতাদের এই পলাতক মনোভাবের কারণে অনেক ভুল হয়ে গেছে। এখন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, বিশ্ব একক হতে চলেছে। এ সময়ে বিশ্ব নাগরিক হোন কিন্তু রিফিউজি হওয়ার জন্য কোন রাজনীতি করা ঠিক নয়। তা ছাড়া এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে শেষ অবধি অনেক ক্ষতি হয় কমিউনিটির। আর এ মুহূর্তে যে গুপ্তহত্যা চলছে এর সঙ্গে জমি দখল, চাঁদাবাজি এগুলো মেলাবেন না। চাঁদাবাজি, দখলবাজি এগুলো দরিদ্র হিন্দুর ক্ষেত্রে যেমন হয়, দরিদ্র মুসলিমের ক্ষেত্রেও তেমনি হয়। এখানে শেখ হাসিনাকে কঠোর হতে হবে। যা গত সপ্তাহে এ কলামে লিখেছি। শেখ হাসিনার দলের এই দখলবাজরা, চাঁদাবাজরা শেখ হাসিনার বড় শত্রু। তবে এই দখলবাজি, চাঁদাবাজি মুক্ত করতে শেখ হাসিনা মনোযোগ দিলে তাঁর বেশি সময় লাগবে না। জামায়াত-বিএনপির এই জঙ্গী মুক্তর পাশাপাশি দলের ভেতর শুদ্ধি অভিযান তাকে একটা চালাতে হবে। বিভিন্ন জেলাতে গজিয়ে ওঠা বড় বড় কয়েকটি পা-াকে একবার শাস্তি দেয়া শুরু করলে তখন দলের আপন শক্তিতেই এটা এগিয়ে যাবে। দলীয় এই অত্যাচারীরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। এদের প্রতি নির্মম হতে হবে শেখ হাসিনাকে। [email protected]
×