ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিতু হত্যা

পুলিশ খুঁজছে সেই মোটরসাইকেল ও তার চালককে

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২১ জুন ২০১৬

পুলিশ খুঁজছে সেই মোটরসাইকেল ও তার চালককে

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এসপি বাবুল আক্তারের পতœী মাহমুদা খানম মিতুর চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচনের সম্ভাবনার দ্বার খুলছে না। কিলিং মিশনের ৩ সদস্য ওই সময় মোবাইল ফোনও ব্যবহার করেনি। ঘটনাস্থল বা এর আশপাশে মোবাইল ব্যবহার করলে তা প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত সংস্থা যে বের করে ফেলে তা এদের জানা রয়েছে বলেই ওইদিন ওই সময়ে তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি বলে তদন্ত সংস্থার সঙ্গে জড়িতদের ধারণা। এখন একমাত্র ভরসা হত্যাকা-ে ব্যবহৃত উদ্ধার করা সেই মোটরসাইকেলটি। ৬ হাত বদল হয়ে এই মোটরসাইকেলটি যে সপ্তম ব্যক্তির হাতে গেছে তার পরিচয় মিলেছে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পিবিআই সূত্র বলেছে, সেই মোটরসাইকেল চালককে ধরার জন্য তাদের সোর্সের মাধ্যমে একাধিক টিম কাজ করছে। এ হত্যাকা-ের অন্তর্নিহিত ঘটনা রহস্যবৃত হয়ে আছে। জঙ্গী, জামায়াত শিবির বা চোরাচালানি চক্রের সদস্যরা এ ঘটনা যে করেছে তা প্রথমদিকে সন্দেহ থাকলেও সে সন্দেহ থেকে পুলিশ এখন অনেকটা সরে এসেছে। তাহলে কারা এ বর্বর ঘটনা ঘটাতে পারে? নিরীহ পর্দানশীন পুলিশ পতœীর ওপর এ নৃশংস হামলার নেপথ্য কাহিনী কিÑ এসব নিয়ে তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সচেতন সব মহল চিন্তিত। হত্যাকা-ের সময় বাবুল আক্তারের সন্তানও ছিল মায়ের সঙ্গে। এ ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজসহ যেসব তথ্য উপাত্ত এসেছে এবং যাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতার করা হয়েছে, রিমান্ডে আনা হয়েছেÑ এখন সবই নিষ্ফল হিসেবে উঠে এসেছে। তদন্ত সংস্থা ডিবিকে সহায়তাকারী আলাদা ৫ টিমের সদস্যরা এখনও কোন কূল-কিনারা করতে পারেনি। সিআইডি, র‌্যাব, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও না। পিবিআইও বিভিন্ন পথে এগিয়েছে উল্লেখযোগ্য কোন সফলতা আসেনি। এখন তারা আরেকটি টার্গেট নিয়ে কাজ করছে। সেটি হচ্ছে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি যে চালিয়েছে তার বিষয়ে নানা তথ্য পেয়েছে এবং নিশ্চিতও হয়েছে। এখন শুধু গ্রেফতার বাকি। কর্মকর্তারা আশা করছেন, তাকে গ্রেফতার করা গেলেই এ হত্যার রহস্য অবশ্যই উন্মোচিত হবে। জাল ভিসায় তুরস্কে পাঠানোর চেষ্টা ॥ ৪ দালালের কারাদ- স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জাল ভিসায় মানবপাচারের চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামে দালাল চক্রের চার সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয় তারা। এরপর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান এই চারজনকে কারাদ- ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দ-িতরা হলো- আশরাফুল রহমত, হারুন সিকদার, আবদুল হালিম ও মনির ফরাজী। এরা নুরুজ্জামান ও মুরাদ নামের ঢাকার মিরপুরের দুই বাসিন্দাকে তুরস্ক পাঠানোর কথা বলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাদের ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট দুটোই ভুয়া প্রমাণিত হয়। তুরস্কে পাঠাবার নামে প্রতারকরা ইতোমধ্যেই হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের অর্থ। বিমানবন্দরে তারা বিদেশগামী চারজনের কাছ থেকে আরও ১ হাজার ডলার দাবি করে। এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হলে একপর্যায়ে হস্তক্ষেপ করে সেখানে দায়িত্ব পালনরত আনসার সদস্যরা। কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পেলে তারা চার প্রতারককে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন।
×