স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার বার্মিংহাম ওপেন ছিল সেরা তারকাদের ব্যর্থতার আসর। মর্যাদার উইম্বল্ডনে নামার আগে ঘাসের কোর্টে দারুণ এক প্রস্তুতির মঞ্চ ছিল বার্মিংহাম এইগন ক্ল্যাসিক। কিন্তু সব বাছাই তারকাই বিদায় নিয়েছেন আগেভাগে। বাছাইদের মধ্যে শুধু টিকে ছিলেন বিশ্বের ১৫ নম্বর ও আসরের ৬ নম্বর বাছাই স্পেনের কার্লা সুয়ারেজ নাভারো। তিনিও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারবারকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় করা নাভারো সেমির লড়াইয়ে হেরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণী ম্যাডিসন কিসের কাছে। ফাইনালে কিসের প্রতিপক্ষ বারবোরা স্ট্রাইকোভা। চেক প্রজাতন্ত্রের তারকা স্ট্রাইকোভা সেমিতে জয় পান যুক্তরাষ্ট্রের কোকো ভ্যানডেওয়েঘের বিপক্ষে। কোকো এ আসরের প্রথম অঘটন ঘটিয়েছিলেন বিশ্বের তিন নম্বর এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানাস্কাকে প্রথম রাউন্ডেই হারিয়ে। তবে এ পোলিশ সুন্দরী আজ আরেকটি গ্রাস কোট টুর্নামেন্ট ইস্টবোর্ন ইন্টারন্যাশনালে নামছেন শিরোপা জেতার লক্ষ্যে। উইম্বল্ডনের আগে অনুপ্রেরণামূলক কিছু করতে চান তিনি।
গ্রাস কোর্টে চলতি বছর মাত্র একটিই ম্যাচ খেলেছেন এখন পর্যন্ত রাদওয়ানাস্কা। আর সেই ম্যাচেই তাকে হার দেখতে হয়েছে। বার্মিংহামে কোকোর কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর এখন ইস্টবোর্ন ইন্টারন্যাশনাল নিয়ে বেশ সিরিয়াস পোল্যান্ডের এ সুন্দরী টেনিস তারকা। এ বিষয়ে রাদওয়ানাস্কা বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ সবসময়ই কিছুটা অচিন্তনীয় হয়। কারণ অনুশীলন ও অভ্যাস ছাড়া খেলতে নামাটা কঠিন। আমার ঘাসের কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আশা করছি ইস্টবোর্ন সেক্ষেত্রে অনেক ভাল ভূমিকা রাখবে।’ তবে ঘাসের কোর্টে রাদওয়ানাস্কার অতীত রেকর্ড বেশ সুখকর। ২০০৬ সালে জুনিয়র উইম্বল্ডন জিতেছিলেন এবং দুই বছর পরই ইস্টবোর্নে শিরোপা জয় করেন, ২০১২ সালের উইম্বল্ডনের ফাইনাল খেলেন এবং আরও দু’বার এই উইম্বল্ডনেরই সেমিফাইনাল খেলেছেন। আর চলতি বছর খুব বড় সাফল্য না পেলেও মোটামুটি একটি ভাল অবস্থান নিয়েই শেষ করেছেন রাদওয়ানাস্কা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল এবং ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত খেলেছেন তিনি।