ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ চারে আবাহনী, প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২০ জুন ২০১৬

শেষ চারে আবাহনী, প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খেলল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড, আর জিতল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ব্রাদার্স ইউনিয়নের আক্ষেপ, খেলায় আগে গোল করেও পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেতে হয় তাদের। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে ‘ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ’ ফুটবল আসরের সেমিফাইনালে নাম লেখাল ঢাকা আবাহনী। শুধু তাই নয়, ব্রাদার্সকে হারিয়ে চার বছরের পুরনো একটা হিসেবও চুকিয়ে দিল তারা। এবারের আসরের সেমিতে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ হচ্ছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। তাদের মোকাবেলার হবে আগামী ২৪ জুন। প্রথমার্ধে যথেষ্ট ভাল খেলে ব্রাদার্সই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে এগিয়েও যায়। মিডফিল্ডার শফিকুল ইসলাম শফির উঁচু পাস বক্সে রিসিভ করে তা মাটিতে পড়তে না দিয়েই তীব্র ভলিতে বল জালে পাঠান হাইতিয়ান মিডফিল্ডার অগাস্টিন ওয়ালসন (১-০)। ৪০ মিনিটে একই ধরনের আরেকটি শট নেন এই হাইতিয়ান। তবে এবার আর সফল হতে পারেননি। আবাহনীর বক্সে ঢুকে উঁচু শট নেন। কিন্তু বল মাথার ওপর দিয়ে পোস্টে ঢোকার আগেই ফিস্ট করেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় ব্রাদার্স। ৬৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা আসে। আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড এ্যান্ড্রু লি টাকের কর্নার থেকে বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান মিডফিল্ডার জুয়েল রানা (১-১)। ৭৬ মিনিটে একটা দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাদার্সের ওয়ালসন। বল নিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের কাটিয়ে তিনি ঢুকে গিয়েছিলেন আবাহনীর বক্সে। কিন্তু সুযোগ থাকলেও বল পোস্টের উদ্দেশ্যে পাঠানোর আগেই তাকে ঘিরে ধরেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। ফলে বাধ্য হয়েই সতীর্থের উদ্দেশ্যে পাস দেন ওয়ালসন। আর বল ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। ৮১ মিনিটে হৃদয় চূর্ণ হয় ব্রাদার্সের। ডানপ্রান্ত থেকে লি টাকের ক্রসের উড়ন্ত বল বক্সে ঢুকে হেড করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। বল গোল লাইন অতিক্রম করার মুহূর্তে বিপদমুক্ত করতে যান ব্রাদার্সের ঘানার ডিফেন্ডার আব্বাস ইনুশাহ্। লাইন্সম্যান গোলের সিদ্ধান্ত দিলে ক্ষেপে ওঠেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা ও ম্যানেজার আমের খান। তারা এটাকে গোল মানতে নারাজ। ফলে ৫ মিনিট বন্ধ ছিল। এ সময় নিয়ম ভেঙ্গে মাঠের ভেতর ব্রাদার্সের ম্যানেজার কর্মকর্তারা প্রবেশ করে গোল বাতিলের জন্য চাপ দিতে থাকেন লাইন্সম্যানকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকেও নামতে হয় মাঠে। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন রেফারি মিজানুর রহমান। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। বাকি সময়টায় আপ্রাণ চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি ব্রাদার্স। এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই আরামবাগের কাছে ০-১ গোলে হোঁচট খেয়ে শুরু করে আবাহনী। ফেনী সকার ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় ও কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। হয় ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ। পক্ষান্তরে ‘সি’ গ্রুপে ব্রাদার্স উত্তর বারিধারাকে ১-০ এবং গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে নাম লেখায় শেষ আটে।
×