ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিও অলিম্পিকে অনিশ্চিত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী সীমান্ত!

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২০ জুন ২০১৬

রিও অলিম্পিকে অনিশ্চিত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী  সীমান্ত!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের গুয়াহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণ জিতে নিজে কেঁদে ও দেশের মানুষকে আবেগের বন্যায় ভাসিয়েছিলেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। স্বর্ণ জয়ের পর সীমান্ত বলে ছিলেন, তার খেলোয়াড়ি জীবনে এখন একমাত্র স্বপ্ন ও ইচ্ছা সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকে খেলা। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও তাদের বানানো ভারোত্তোলন এ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গাফিলতি ও নির্বুদ্ধিতার কারণে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে আসন্ন রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়াটা অনিশ্চিতই হয়ে পরেছে সীমান্তর! ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ (অব) কে কিছু না জানিয়েই গত ১১ জুন সরকারী ছুটির দিনে ফেডারেশনে ঢোকেন বর্তমান এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী ও সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা। সেদিনই তারা অফিসের তালা পাল্টে ফেলেন কোন অনুমতি না নিয়েই। এরপর বিদ্যুত কুমার রায় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের নিউজ কাটিং ও অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো করেন। এরপর অফিসিয়ালভাবে ফেডারেশনের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই শহিদুল ইসলাম তড়িঘড়ি করে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতিকে ই-মেইলে জানান যে, বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সঙ্গে উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদের আর কোন সম্পর্ক নেই। মূলত তার এই ই-মেইলের কারণেই আসন্ন রিও অলিম্পিকে সীমান্তর খেলা অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ে। কারণ এতদিন মহিউদ্দিনের বিশেষ অনুরোধে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতি বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে রিও অলিম্পিকে সীমান্তর ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার বিষয়ে বেশ জোরালো আশ্বাস দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মোট ৫১ আবেদনকারী দেশের মধ্যে ১০ দেশকে ভারোত্তোলনে ওয়াইল্ড কার্ড প্রদান করা হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে জানানো হয়েছেÑ দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠককে বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন থেকে অবমূল্যায়িত করে বিদায় করা হয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ওয়াইল্ড কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনের এখন চিন্তা-ভাবনাও পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশন ও এশিয়ান ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে বিস্মিত হয়েছেন। যা বাংলাদেশ ভারোত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। আর এসব কারণেই হয়তো পুড়তে যাচ্ছে সীমান্তর কপাল! ফেডারেশনের এ ধরনের ই-মেইল পাঠানো নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভের। বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। যে মেয়েটি এতদিন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নের জাল বুনছিল তার স্বপ্ন কি তাহলে বর্তমান কমিটির নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ এই ই-মেইলের কারণে থমকে যাবে? চলতি মাসের শেষ দিকে জানা যাবে সীমান্ত ওয়াইল্ড কার্ড পাচ্ছেন কিনা।
×