অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে রবিবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৯ শতাংশ। লেনদেন কমার দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের। উভয় বাজারেই লেনদেনের শীর্ষে ছিল একমি ল্যাবরেটরিজ। যদিও কোম্পানিটির দর আগের দিনের তুলনায় কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রবিবার ডিএসইতে ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২০৯ কোটি ১২ লাখ টাকা কম। বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৫৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭২৪ পয়েন্টে।
ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, আমান ফিড, কাসেম ড্রাইসেল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
একমি ল্যাবরেটরিজকে ঘিরে লেনদেনের দিনে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি ১১২ কোটি টাকার লেনদেন করেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সারাদিনে মোট ১১২ কোটি টাকার লেনদেন করেছে খাতটি। যা মোট লেনদেনের ২৯.২১ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯.০৩ ভাগ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : একমি ল্যাবরেটরিজ, ইউনাইটেড এয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ডরিন পাওয়ার, কাসেম ড্রাইসেল, জিপিএইচ ইস্পাত, শাহজিবাজার পাওয়ার ও বিএসআরএম লিমিটেড।
