ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার আক্রান্ত জিয়ারুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২০ জুন ২০১৬

ক্যান্সার আক্রান্ত জিয়ারুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যান্সারে আক্রান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী জিয়ারুল ইসলামের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় পা হারান তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন। কঠোর অধ্যবসায়ে সফল হওয়ার দৃষ্টান্ত যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নওয়ালী গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে জিয়ারুল। পরের বাড়িতে কামলা খেটে, রাস্তায় মাটি কেটে, কখনও টিউশনির টাকা দিয়ে নিজের পড়ার খরচ যুগিয়েছেন। জিয়ারুল যশোর এম এম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু তিনি আজ দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করছেন। সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করার সময় একদিন ঘটে গেল জিয়ারুলের জীবনে চরম অঘটন। শ্রেণীকক্ষের একটি বেঞ্চের কোনায় তার হাঁটুতে আঘাত পেলে চিকিৎসা নেন বাগআঁচড়ার সদ্যপ্রয়াত চিকিৎসক আব্দুল জলিলের কাছে। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোহাম্মদ আলী ও ডাঃ আব্দুর রউফের অধীনে চিকিৎসা নেন। পরে তাদের পরামর্শে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক ডাঃ আবু সাঈদের অধীনে চিকিৎসা নেয়াকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঠানো হয় ঢাকার মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে ওই হাঁটুতে কেমোথেরাপি দিয়ে বলা হয় হাঁটুর অপারেশন করাতে হবে। এর পর জিয়ারুল ভারতের কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে ডাঃ সুভাশীষের কাছে চিকিৎসা নেন। ডাঃ সুভাশীষ তাদের জানান, হাঁটুতে ক্যান্সার না হলেও কেমো দেয়াসহ ভুল চিকিৎসার কারণে হাঁটুর উপরের অংশ থেকে কেটে ফেলতে হবে। এরপর বাংলাদেশে এনে ঢাকার মিরপুর ডেল্টা ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়। বড় বোন তাসলিমা চাকরি ছেড়ে স্কুলের ডোনেশনের টাকা ফেরত নিয়ে এবং জিয়ারুলের স্কুলের শিক্ষার্থী ও পার্শ¦বর্তী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দানশীল ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় জিয়ারুলের চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে যায় প্রায় ২৩ লাখ টাকা। অপারেশনের পর পুরো সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও স্কুলের চাকরিটা আর ফিরে পাননি জিয়ারুল। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন জিয়ারুল। যোগ দেন উপজেলার চ-ীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দু’মাস আগে ডান বাহুর নিচে ধরা পড়ে বড় টিউমার। বর্তমানে জিয়ারুল খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুকিতুল হুদার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, টিউমারে ক্যান্সারের জীবাণু আছে। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাকে বেশ কয়েকবার রেডিওথেরাপি দিতে হবে। তাসলিমা বলেন, এই মুহূর্তে তার চিকিৎসা খরচের জন্য প্রায় তিন লাখ টাকা লাগবে, যা যোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাইয়ের চিকিৎসার খরচের জন্য সমাজের বিত্তবান, দানশীলদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাসলিমা। চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে সরাসরি যোগাযোগ করুন এই মোবাইল নম্বরেÑ ০১৭৫৯১৪২৫৪৮। সাহায্য দিন জিয়ারুল ইসলামের এই দুটি সঞ্চয়ী হিসাবেÑ সোনালী ব্যাংক, রাজগঞ্জ শাখা, মনিরামপুর, যশোর, হিসাব নং ৩৪১৫২৮৪৭ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ঝিকরগাছা শাখা, যশোর, হিসাব নং ১৪৯৫৫। ঘোষণা : দৈনিক জনকণ্ঠ মানুষ মানুষের জন্য বিভাগে খবর প্রকাশের মাধ্যমে সহৃদয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়ে থাকে। সাহায্য সরাসরি সাহায্যপ্রার্থীর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে অথবা সাহায্যপ্রার্থীর দেয়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে হবে। দৈনিক জনকণ্ঠ এ বিষয়ে কোন দায়ভার গ্রহণ করবে না।
×