ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওভারলোড হওয়ার আগেই লঞ্চ ছাড়তে হবে

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২০ জুন ২০১৬

ওভারলোড হওয়ার আগেই লঞ্চ ছাড়তে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লোড লেভেল ক্রস করার আগেই ঈদ যাত্রায় লঞ্চকে ঘাট ছাড়তে হবে। ঈদ প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সরকার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মালিকপক্ষকে। কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। বৈঠকে বলা হয় ঈদে লঞ্চ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পশ্চিমে একটি নতুন টার্মিনাল ঈদের আগেই চালু করা হবে। ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে নতুন তিনটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। লঞ্চ যাত্রীদের টিকেটের জন্য সদরঘাটে টিকেট কাউন্টার খোলা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। সরকার নিরাপদ ও সুষ্ঠু নৌ চলাচল এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান রবিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি সার্ভিস ও বিভিন্ন স্টিমার, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের নিরাপদ চলাচল সংক্রান্ত এক সভায় এসব কথা বলেন। সভায় বলা হয় ঈদের সময় কোন ক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন্য কোন মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল ওঠানো যাবে না। ঈদের সময় লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যাবে না। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সব মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখতে হবে। লঞ্চে যাত্রীর ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ঈদের আগে ও পরে তিনদিন করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত) সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। মাওয়া ও পাটুরিয়াঘাটে অধিক যাত্রী হলে প্রয়োজনে ফেরি দিয়ে যাত্রী পার করা হবে। সূর্যাস্তের পর স্পিডবোট চলবে না। স্পিড বোটের যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টিম গঠন করবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরে ঈদের ছুটি পুনঃবিন্যাস করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএইমইকে অনুরোধ জানানো হবে। ফেরিঘাটে সিরিয়াল প্রদানের বিষয়ে কোন ধরনের অনিয়ম করা যাবে না। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ-পুলিশের মহাপরিচালক, লঞ্চ মালিক, শ্রমিক, সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
×