যৌতুকের জন্য রূপগঞ্জে দুই গৃহবধূ নির্যাতিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৯ জুন ॥ যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সূবর্ণা রানী সরকার (২৫) ও সানজিদা আক্তার (২২) নামে দুই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। এ সময় একজনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। রবিবার সকালে গুতিয়াব চ-িপাড়া ও খাদুন এলাকায় ঘটেছে নির্যাতনের ঘটনা। নির্যাতনের শিকার সূবর্ণা সরকার চ-িপাড়া এলাকার কালীদাস চন্দ্র সরকারের মেয়ে ও সানজিদা আক্তার খাদুন এলাকার দুলাল খানের মেয়ে। কালীদাস চন্দ্র সরকার জানান, ১০ বছর আগে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার পাড়ারটেক এলাকার চাঁন মোহন সরকারের ছেলে বিমল চন্দ্র সরকারের সাথে সূবর্ণা রানী সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর থেকেই স্বামী বিমল চন্দ্র সরকার মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া বিমল চন্দ্র সরকার কোন কাজকর্ম করত না। সংসার চালানোর জন্য কোন টাকা চাইলে মারধরসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালানো হতো। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সূবর্ণা রানী সরকারের কাছে ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিমল চন্দ্র সরকার, কমলা রানী, চাঁন মোহন, চান্দুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সূবর্ণা রানী সরকারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার বিমল চন্দ্র সরকার গুতিয়াব চন্ডিপাড়া এলাকায় বেড়াতে আসে। আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করলে সূবর্ণা রানী সরকার টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। তখন বিমল চন্দ্র সরকার স্ত্রী সূবর্ণা রানী সরকারকে পিটিয়ে জখম করে। অপরদিকে দুলাল খান জানান, ৮ বছর আগে একই এলাকার কাজিম উদ্দিনের ছেলে শাকিরের সঙ্গে তার মেয়ে সানজিদা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে ও মেয়ের জন্ম হয়। প্রায়ই শাকির হোসেন পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া করত। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে স্বামী শাকির হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। সানজিদা আক্তার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। গত শনিবার সকালে স্বামী শাকির হোসেন, জাকির হোসেন, শ্বশুর কাজিম উদ্দিন, জামিলা বেগমসহ শশুর বাড়ির লোকজন সানজিদা আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে।