ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার ॥ খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৯ জুন ২০১৬

প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার ॥ খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার নিজে জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে অপরাধীদের ক্রসফায়ারে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে রাজনীতি-বিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ২০ দলীয় জোটের শরিকদল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোন দরদ নেই। এ সরকার জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িয়ে নিরপরাধ লোকদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করছে। আর যখন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রিপোর্টে নিজেদের লোকদের ব্যাপারে তথ্য আসছে তখন প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এ অবস্থার অবসানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে কি হচ্ছে, কি চলছে সবাই জানেন। দেশ আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। দেশ কে চালাচ্ছে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে বলে আশঙ্কা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটছে কিন্তু এর বিচার হয়নি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার কয়েক বছর পার হলো কিন্তু এখনও এ হত্যাকা-ের বিচার হয়নি। এর পেছনে বড় কারণ আছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, অপরাধী ধরা পড়ল অথচ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ক্রসফায়ারে দেয়া হচ্ছে। কারণ আটককৃতরা এমন তথ্য দেয় যার সঙ্গে সরকার জড়িয়ে যায়। তাই ক্রসফায়ার। তিনি বলেন, কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বিনা ওয়ারেন্টে ধরা যাবে না অথচ গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশে কারও কোন নিরাপত্তা নেই। প্রধানমন্ত্রী নামেই প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নাকি অন্য কোন মন্ত্রী? শেখ হাসিনা অন্যের নির্দেশ পালন করেন তাই তাকে প্রধানমন্ত্রী বলা যাবে না। তিনি বলেন, বিনা অপরাধে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু রিমান্ড থেকে সেই মানুষ আর বাবা-মার কাছে ফেরত যেতে পারছে না। কারণ তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হচ্ছে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় খালেদা জিয়া হোটেল পূর্বাণীতে পৌঁছলে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে দলের নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় খালেদা জিয়া নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ইফতার মাহফিলে দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈফুদ্দিন আহমেদ মণি, জাতীয় পর্টির নেতা আহসান হাবীব লিংকন, মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আমমেদ। ইফতার মাহফিলে বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, ডাঃ জাহিদ হোসেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
×