ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাতিল দাবি হেফাজতের

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৯ জুন ২০১৬

প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাতিল দাবি হেফাজতের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাতিল দাবি এবং গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও বলা হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলেই আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষানীতি ২০১০ ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষানীতি ২০১০ ইসলাম বিরোধী। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘শিক্ষানীতি ধর্মবিরোধী নয়’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং এ বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। প্রাইমারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইসলাম ধর্মকে এক ধরনের বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদ হিন্দুত্ববাদের প্রতি উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন রচনা, গল্প ও কবিতা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দেবদেবীর নামে প্রার্থনা করার বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত গল্প ও কবিতার সংখ্যা ১৯৩। এরমধ্যে হিন্দু ও উগ্র ইসলামবিরোধী নাস্তিকদের লেখার সংখ্যা ১৩৭। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ ঘাতক চক্র দেশে সিরিজ কিলিং মিশনে মেতে উঠেছে। হেফাজতে ইসলাম এসব হত্যাকা-ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম বা জাত নেই। ওরা শুধুই অপরাধী। অবিলম্বে এদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। সাংবাদিক সম্মেলনে হেফাজতের পক্ষে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষানীতি ২০১০ এবং বিতর্কিত শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিল করা, নুরানী-মক্তব হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসা নিবন্ধনের আওতামুক্ত রাখা, পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম ভাবধারার রচনা, গল্প ও কবিতা পুনস্থাপন করা, দশম শ্রেণী পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ওলামায়ের কেরামে তত্ত্বাবধানে ইসলাম শিক্ষার পাঠ্য বই রচনা করে পাঠ্যসূচিভুক্ত করা। পাঠ্যপুস্তক রচনা ও সম্পাদনায় বিশেষজ্ঞ আলমদের অন্তর্ভুক্ত করার আধুনিক ও যুগোপযোগী করার নামে কওমী মাদ্রাসা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, গুপ্ত হত্যা, ঘুম, খুন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, লিফলেট প্রচারপত্র বিলি, বয়ান, আলোচনা এবং ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা ইত্যাদি।
×