ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রূপগঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা ॥ ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যা থেকে লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৯ জুন ২০১৬

রূপগঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা ॥ ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যা থেকে লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৮ জুন ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাওহিদ (৭) নামে এক শিশুকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। নিখোঁজের তিন দিন পর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা থেকে তাওহিদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু তাওহিদ তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার কবির হোসেনের ছেলে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভির হোসেন জানান, সকালে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে শিশু তাওহিদের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তাওহিদের পিতা কবির হোসেন অভিযোগ করে জানান, দুই বছর আগে তার বড় ভাই কাদিরের মেয়ে কারিমার সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাউসার মিয়ার প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কাউসারের পরিবার এ বিয়ে মানতে রাজি নয়। এক বছর আগে শ্বশুর আনোয়ার হোসেন, জামাতা কাউসারসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন কারিমাকে নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বিতারিত করে। তিন মাস আগে ভাতিজি কারিমার বিষয়াদি নিয়ে কবির হোসেনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের বাগ্বিত-া হয়। পরে উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ চারটি মামলা দায়ের করে। ভাতিজি কারিমার পক্ষে মামলায় সহযোগিতা করতেন কবির হোসেন। সেই থেকে কবির হোসেনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন ও কাউসারদের পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই আনোয়ার হোসেন ও কাউসারসহ তাদের লোকজন গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে তাওহিদকে অপহরণ করে হত্যা করে এবং গুম করার উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে কবির হোসেন দাবি করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×