ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ হাজার টাকায় রফা

প্যাথলজির ভুয়া রিপোর্টে কুমারী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৯ জুন ২০১৬

প্যাথলজির ভুয়া রিপোর্টে কুমারী অন্তঃসত্ত্বা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ১৮ জুন ॥ শারীরিক দুর্বলতা ও মেয়েলি সমস্যার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কুমারী মেয়েকে টেস্ট রিপোর্টে অন্তঃসত্ত্বা বলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভালুকা হাসপাতাল গেটে অবস্থিত রেজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হলে বেগতিক দেখে ৫০ হাজার টাকায় বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। সূত্র জানায়, পূর্ব ভালুকার রানী আক্তার বৃহস্পতিবার সকালে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ আয়েশা তাইয়েবার কাছে চিকিৎসা নিতে যায়। ডাক্তার সমস্যার কথা শুনে তাকে পিটি টেস্ট (প্রেগনেন্সি টেস্ট) করার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতাল গেটে অবস্থিত রেজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করায় রানী আক্তার। টেস্ট রিপোর্টটিতে ‘পজেটিভ’ উল্লেখ করায় ডাক্তার রানীকে সন্তানসম্ভবা উল্লেখ করেন। এ কথা শুনে লজ্জায় কারও কাছে কিছু না বলে নীরবে চলে যায় রানী আক্তার। পরদিন শুক্রবার রানী আক্তার তার স্বজনদের নিয়ে ‘দেওয়ান ডায়াগনস্টিক’ নামে অপর আরেকটি প্যাথলজিতে টেস্ট করায়। এ প্যাথলজির রিপোর্টে ‘নেগেটিভ’ আসে। এ নিয়ে রেজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপর ক্ষিপ্ত হয় রানী আক্তারের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা। গোয়ালঘরে সেমাই কারখানা! নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৮ জুন ॥ পাশেই গোয়াল ঘর। সঙ্গে লাগানো ইট- খোয়া দিয়ে তৈরি ২-৩ হাত জায়গার ওপর চলছিল সেমাইয়ের ময়দা মাখানোর কাজ। গরুর মলমূত্র ভাজা সেমাই ও সেমাই তৈরির উপাদানে ছিটকে পড়ছিল। তা দিয়ে তেল মেশানো ময়দা মাখানো হচ্ছে। সেই ময়দায় পড়ছে ভনভনে মাছি। যে তেল দিয়ে ময়দা মাখানো বা সেমাই ভাজার কাজ চলছিল, সেটিও ডালডা ও পামওয়েল মেশানো পোড়া তেল। ভাজা সেমাই থেকে চুইয়ে পড়া তেল পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেখানে সেমাই তৈরির কাজ চলছিল। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বেশ হুমকিস্বরূপ। এমন সেমাই তৈরির কারখানার এমন বিবরণ তুলে ধরলেন, নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম মোজাহার হোসেন বুলবুল। শুক্রবার বিকেলে তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ আশিক আহমেদ, ডাঃ মীর্জা শাকিল আহম্মেদ ও সেনেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল মতিনকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন, শহরের বাটার মোড়ে অবস্থিত মেসার্স নান্নে মুন্নে স্টোরের স্বত্বাধিকারী আল মাসুদের দুর্গাপুর চৌরাস্তার মোড়ের নিজস্ব সেমাই কারখানায়।
×