ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে খানাখন্দ ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ জুন ২০১৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে খানাখন্দ ॥ ভোগান্তি

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ চার লেনের কাজ চলা, সরু রাস্তা, মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের কারণে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটারে দীর্ঘ যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যানজট লেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে অন্তত ৪/৫ ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রীকে। শিশু ও নারীদের নিয়ে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার প্রায় চার বছর পরে দুই লেনের সরু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যাত্রা শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সেতুবন্ধন এ মহাসড়কে শুরু থেকেই বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের ২৩টি জেলার গাড়ি চলাচল করে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন চলাচল করছে ২২/২৩ হাজার দূরপাল্লার বাস-ট্রাকসহ হালকা ও ভারি যানবাহন। যা মহাসড়কের ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি। এদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন যেমন- অটো টেম্পু, রিক্সা-ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার মতো ধীর গতি সম্পন্ন যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপক হারে। একাধিক অন্ধবাঁক, বেপোরোয়া গাড়ি চালনা, ট্রাফিক আইন অমান্যের মতো বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে ব্যাপকহারে। মহাসড়কের উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দায়সারাভাবে রাস্তার মাঝখানে ইটের সোলিং করে জোড়া-তালি দিয়ে সংস্কার কাজ করছে টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগ। এই ইট ফসকে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে ক্ষতি হতে পারে যানমালের। মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবারের মতো টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ লোক দেখানো কাজ করে চলেছে। দেশের অন্যতম বড় এই মহাসড়কে টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। সংস্কার কাজের কিছুদিন পরেই তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। জয়দেবপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত চারলেন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গোড়াই, হাঁটুভাঙ্গা, মির্জাপুর, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া, ঘারিন্দা, এলেঙ্গায় প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। মহাসড়কের দুই পাশে চারলেন রাস্তার কাজ চলায় মাটি বোঝাই বড়বড় ড্রাম ট্রাক আনলোড হচ্ছে। চার লেনের কাজ এবং নাসির ফোল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, নাসির গ্লাসে রাত দিন সারাক্ষণই চলছে মাটি ফেলার কাজ। মহাসড়কের মধ্যে আড়াআড়ি করে বড়বড় ট্রাকগুলো মাটি ফেলছে। ফলে দুই পাশে তিন-চার কিলোমিটার যানজট লেগে যায়।
×