অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রফতানি আয় ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৮০ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৭৪ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হোম টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে বিছানা ও রান্নাঘরের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৯ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে বিছানা ও রান্নাঘরের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪৮ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
অন্যান্য হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এখাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ২৬ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এই খাতের পণ্য রফতানি আয় ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
ইপিবির জুন মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ফুটওয়্যার পণ্য রফতানিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরে ফুটওয়্যার পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-মে মেয়াদে ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে বৈদেশী মুদ্রার আয় ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: