ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক রফতানিতে উৎসে কর দশমিক ৩০ শতাংশ করার দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৯ জুন ২০১৬

পোশাক রফতানিতে উৎসে কর দশমিক ৩০ শতাংশ করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পোশাক রফতানিতে উৎসে কর দেড় শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএসহ আরও তিনটি সংগঠন। তবে উৎসে কর বিদ্যমান হার বা দশমিক ৬০ শতাংশ হলেও তাতে কোন আপত্তি নেই সংগঠন চারটির। শনিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে পোশাক ও বস্ত্রখাতের ৪টি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বিজিএমইএ, বিটিএমইএ, বিটিটিএলএমইএ, বিজিএপিএমইএর যৌথ উদ্যোগে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমই সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। বিজিএমই সভাপতি বলেন, উৎসে কর সেলসের ওপর কর্তন করা হয়, মুনাফার ওপর নয়। যদি কোন কারখানা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করার পর মাত্র ৩ শতাংশ মুনাফা অর্জন করতে পারে, সেই কারখানাটির জন্য ১ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন অত্যন্ত কঠিন। এই কর রফতানিমুখী শিল্প ও বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের চরমভাবে নিরুৎসাহিত করবে। ফলশ্রুতিতে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, আমাদের মতে প্রত্যক্ষ করের ওপর বেশি নজর না দিয়ে পরোক্ষ করের মাধ্যমে শিল্পকে সহায়তা করাই যৌক্তিক হবে। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কর বাড়ে তখনই যদি কোন প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়ে। আমাদের মুনাফা বাড়ছে না, বরং প্রতিবছরই আমাদের লাভ কম করতে হচ্ছে। মুনাফা হার কমছে। অন্যদিকে প্রতিবছর উৎসে কর বাড়াতে হবে এটা যেন রেওয়াজ হয়ে গেছে, তা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে রফতানিমুখী পোশাক ও বস্ত্রখাতে সকল প্রকার রফতানি মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দেড় শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের স্বাভাবিক বিকাশকে ব্যাহত করবে। তাই আয়কর কর্তনের হার দশমিক ৩০ শতাংশ নির্ধারণ কিংবা পূর্বের অর্থবছরের ন্যায় দশমিক ৬০ শতাংশ বহাল রাখার দাবি তাদের। সংবাদ সম্মেলনে কর্পোরেট কর হার ১০ শতাংশ ধার্য করার দাবি এবং ৩৪টি পণ্য সেবার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি পায়নি বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমই সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সভাপতিত্বে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ এইচ আসলাম সানী, মোঃ সাইফুল ইসলাম, ফজলুল হক, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। সিলেটের মণিপুরী তাঁতের দোকানে বেড়েছে ক্রেতা সমাগম অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ উপলক্ষে সিলেটের লামাবাজার মণিপুরী তাঁতের দোকানগুলোতে বেড়ে গেছে ক্রেতা সমাগম। কেউ কিনছেন নিজেদের জন্য আবার কেউ কেউ সিলেটের বাইরে আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন মণিপুরী শাড়ি। আর ক্রেতাদের পছন্দ মাথায় রেখে বিভিন্ন দামের শাড়ি সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মণিপুরী। এক সময় মণিপুরী শাড়ি শুধু নিজেরা পরলেও এখন এই শাড়ির কদর সবমহলে।
×