ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউ গণভোট নিয়ে ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল করছেন ক্যামেরন

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ১৯ জুন ২০১৬

ইইউ গণভোট নিয়ে ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল করছেন ক্যামেরন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, ইইউ গণভোট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে পুতিন তার করা প্রথম মন্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন যে, ক্যামেরন কেন প্রথমেই ইইউতে ব্রিটেনের সদস্যপদ নিয়ে গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হুঁশিয়ার করে বলেছে, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (্ইইউ) ত্যাগ (ব্রেক্সিট) ব্রিটিশ অর্থনীতিকে নেতিবাচক ও বড় ধাক্কা দিতে পারে। খবর এএফপি ও টেলিগ্রাফের। এদিকে ব্রিটেনের টাইমস সংবাদপত্র গণভোট অনুষ্ঠানের মাত্র পাঁচদিন আগে শনিবার দেশটির ইইউতে থাকার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। আর ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রিত দৈনিক দি সান সমর্থন জানিয়েছে ইইউ ত্যাগের পক্ষে। আগামী ২৩ জুন এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে বড় ধরনের সমস্য রয়েছে। কেন ক্যামেরন প্রথমেই গণভোটের আহ্বান জানালেন? কেন তিনি এমন করলেন? তাহলে কি তিনি ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল করছেন বা কাউকে ভয় দেখাতে চেয়েছেন। ক্যামেরন নিজেই যদি এর বিরোধী হন, তাহলে তার উদ্দেশ্য কি? ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে রাশিয়ার সুবিধা পাবার বিষয় তা তিনি অস্বীকার করেছেন। পুতিন বলেন, এ বিষয়ে তার একটি মতামত আছে, কিন্তু তা তিনি প্রকাশ করবেন না। কারণ এটি তাদের কোনও বিষয় নয়, এটি যুক্তরাজ্যের জনগণের বিষয়। পুতিন আরও বলেন, আপনি যদি সব বিষয় বিবেচনায় আনেন, তাহলে সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক জটিল হবে। ব্রিটেনের জরিপ সংস্থা হোয়াট ইউকে থিঙ্কের সর্বশেষ ছয়টি জরিপে দেখা গেছে, দেশটির সিদ্ধান্ত না নেয়া ভোটারদের ছাড়া ইইউতে থাকার পক্ষে ৫২ শতাংশ নাগরিক সমর্থন জানিয়েছে। অপরদিকে ত্যাগের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে ৪৮ শতাংশ। আইএমএফ শুক্রবার বলেছে, তথাকথিত ব্রেক্সিটের ফলে ব্রিটিশ অর্থনীতির ক্ষতি হবে এবং এর প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। সবচেয়ে খারাপ দৃশ্যকল্প হলো, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আগামী বছর মন্দায় পতিত হতে পারে এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে আভাস দেয়া হয়েছে সার্বিক অর্থনৈতিক উৎপাদন তার চেয়ে কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। পাশাপাশি বেকারত্বের হার ছয় শতাংশের বেশি বেড়ে যেতে পারে। সংস্থাটি শুক্রবার জানিয়েছে, যদিও ব্রিটেনের ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তবে এই প্রভাব নেতিবাচক ও বিশাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, ব্রেক্সিটের ফলে বড় ধরনের এক দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা দ্রুত শুরু হবে, যা আস্থা ও বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে এবং অর্থবাজারে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। এই প্রভাব প্রথমে অভ্যন্তরীণভাবে অনুভূত হলেও পরে তা আঞ্চলিক ও বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়বে।
×