ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রামকৃষ্ণ মিশনের নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১৮ জুন ২০১৬

 রামকৃষ্ণ মিশনের নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরোহিত হত্যার হুমকির ঘটনায় রামকৃষ্ণ মিশনের সর্বাত্মক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মিশনটির প্রধান গেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নতুন করে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। অন্যদিকে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ন্যাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে আনন্দ বাজারের খবরে। শুক্রবার মিশনের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ও আনসার দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ২০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে মিশনজুড়ে। সর্বক্ষণিক নিরাপত্তা মনিটরিং করছেন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। রাজধানী ওয়ারী জোনের ডিসি সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের লাগানো সিসি ক্যামেরার সঙ্গে নতুন করে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুরো মিশনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। ডিসি বলেন, হুমকির ঘটনায় মিশন কর্তৃপক্ষ ওয়ারী থানায় একটি জিডি করেছে। হত্যার হুমকি দিয়ে পাঠানো চিঠির বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তারা। ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সহসম্পাদক স্বামী সেবানন্দকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় তার ও মিশনের অন্য সন্ন্যাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আনন্দ বাজারের এক খবরে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার উল্লেখ করে খবরে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। দুই দেশের বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান চলছে। প্রসঙ্গত, বুধবার এক চিঠিতে ওই সন্ন্যাসীকে খুনের হুমকি দেয়া হয়। পত্র প্রেরক নিজেকে আইএসের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করে। যদিও বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য দেয়নি। তবে মিশনের নিরাপত্তা জোরদার ছাড়াও সচেতন রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে প্রতিদিনই গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে আসবে গুপ্তহত্যা। ইতোমধ্যে তার নজিরও দেখা যাচ্ছে।
×