ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বিদায়ের দিনও আজ

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৮ জুন ২০১৬

এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বিদায়ের দিনও আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আজ শিরোপার কাছে এগিয়ে যাওয়া আর শিরোপা জেতার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়ার দিন হয়ে যেতে পারে। বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও প্রাইম ব্যাংক মুখোমুখি হবে। ম্যাচটিতে প্রাইম ব্যাংক হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। মানে শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। রূপগঞ্জ তখন শিরোপার আরও কাছে চলে যাবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেড ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব লড়াই করবে। যে দল জিতবে তারা শিরোপার আরও কাছে চলে যাবে। হারা দল শিরোপা জয় থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে খেলবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যে দল জিতবে শিরোপা স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। যে দল হারবে শিরোপা স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে যাবে। যদি প্রাইম দোলেশ্বর হারে সেক্ষেত্রে একটু সমীকরণ থাকবে। কারণ আবাহনীর বিপক্ষে তাদের ম্যাচের ফলের কোন নিষ্পত্তি যে এখনও হয়নি। পয়েন্ট তালিকায় এখন সবার ওপরে আছে রূপগঞ্জ। ১৮ পয়েন্ট তাদের। এরপর ভিক্টোরিয়ার ১৭ ও আবাহনীর পয়েন্ট ১৬। প্রাইম দোলেশ্বর, প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ করে। রূপগঞ্জ জিতলে ২০ পয়েন্ট হয়ে যাবে। তখন ১৪ পয়েন্ট করে থাকা দলগুলোর মধ্যে যারাই হারবে, তাদের শিরোপা জেতার স্বপ্নই মরে যাবে। কারণ বাকি থাকা দুই ম্যাচ জিতলে হবে ১৮ পয়েন্ট। ২০ পয়েন্ট হওয়ার আর কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। প্রাইম দোলেশ্বর, প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান যখন শিরোপা স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্নে বিভোর, তখন রূপগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া ও আবাহনীর মাথায় শুধু শিরোপাই ঘুরঘুর করছে। সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছে রূপগঞ্জই। দলটি আর দুটি ম্যাচ জিতলেই শিরোপায় হাতছানি দেবে। এরপর অন্য দলগুলোর ‘জয়-পরাজয়’ সমীকরণ হিসেবের মধ্যে আসবে। প্রতিটি দলেরই তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। রূপগঞ্জ আর দুই ম্যাচ জেতা মানে হচ্ছে ২২ পয়েন্ট হওয়া। তখন ভিক্টোরিয়া ও আবাহনীকে জিততে হলে বাকি থাকা ম্যাচগুলোতে জিততে হবে। এক্ষেত্রে আবাহনী আছে সুবিধাজনক স্থানে। কিভাবে? আবাহনীর হাতে যতই ধরা হোক তিন ম্যাচ আছে। আসলে ম্যাচ আছে চারটি। যদি দেখা যায়, রূপগঞ্জ দুই ম্যাচ জিতল, ২২ পয়েন্ট হলো। আবাহনী জিতল ২ ম্যাচ। তখন হবে ২০ পয়েন্ট। এই জয়ী ২ ম্যাচের মধ্যে যদি রূপগঞ্জকে হারায় আবাহনী, তাহলে আবাহনীরও শিরোপা জেতার সম্ভাবনা রয়ে যাবে। তখন প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচটি আবার হলে এবং আবাহনী জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে ‘আকাশী-হলুদ’ শিবির। তখন রূপগঞ্জ ও আবাহনীর পয়েন্ট সমান ২২ হবে। কিন্তু সুপার লীগের ‘হেড টু হেডে’ আবাহনী এগিয়ে থেকে শিরোপা ঘরে তুলবে। সেসব দিক নিয়ে কি আর আবাহনী এখনই মনোযোগী? একেবারেই না। প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচের ফলের নিষ্পত্তি তো করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিসিবিতে যতই আবাহনীর কর্মকর্তাই প্রাধান্য বিস্তার করুক, আবাহনীর পক্ষেও যদি সিদ্ধান্ত আসে; তাতেও তো লাভ হবে না। যদি কিনা সামনে কমপক্ষে ২টি ম্যাচ না জিতে আবাহনী। এরমধ্যে আবার অবশ্যই ভিক্টোরিয়া ও রূপগঞ্জকে হারাতে হবে। না হলে ভিক্টোরিয়াও আবাহনীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভিক্টোরিয়া যদি পয়েন্ট তালিকায় আবাহনীর পরে থাকে, তাহলে রূপগঞ্জকে নিয়ে ঝামেলায় পড়বে আবাহনী। তখন রূপগঞ্জ ও আবাহনীর পয়েন্ট সমান হলে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচটি আমলে আসবে। সেই ম্যাচের ফলের ওপরই তখন সব নির্ভর করবে। এর আগে তো আবাহনীকে দুটি ম্যাচ জিততে হবে। আর যদি কোনভাবে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে যায় আবাহনী। তাহলে তো প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচের ফলের কোন প্রভাবই শিরোপা জয়ে পড়বে না। নিশ্চিত শিরোপা জয় হয়ে যাবে আবাহনীর। তখন রূপগঞ্জ যদি আবাহনীর সমান ২২ পয়েন্টও থাকে, তাতেও কাজ হবে না। ‘হেড টু হেডে’ আবাহনীই চ্যাম্পিয়ন হবে। আবাহনী টানা তিন ম্যাচ জেতা মানে রূপগঞ্জকেও হারানো। তখন বিসিবি যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তামিম আম্পায়ারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, যেহেতু আবাহনীর অধিনায়ক তামিম, তাই প্রাইম দোলেশ্বরকেই পূর্ণ পয়েন্ট দিয়ে দেয়া হলো। তাতেও আবাহনীর তখন কিছু যাবে আসবে না। চ্যাম্পিয়ন হবেই।
×