ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৮ জুন ২০১৬

সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্লিন্ট ডেম্পসের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভর করে প্রথম দল হিসেবে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠে গেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে পরাজিত করে জার্গেন ক্লিন্সম্যানের যুক্তরাষ্ট্র। স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ডেম্পসে। দ্বিতীয় গোল করেন গায়াসি জারডেস। এই গোলেও অবদান রাখেন ডেম্পসে। ইকুয়েডরের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন মিডফিল্ডার মাইকেল এ্যারোয়ো। দারুণ এই জয়ে প্রথমবারের মতো কোপা আমেকিার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বুনছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এক্ষেত্রে সেমিফাইনালেই তাদের সবচেয়ে বড় বাধার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কোয়ার্টার ফাইনালে ভেনিজুয়েলাকে যদি আর্জেন্টিনা পরাজিত করে তাহলে শেষ চারে লিওনেল মেসির দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। যুক্তরাষ্ট্র-ইকুয়েডর ম্যাচটি শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। মাঠে, ডাগআউটে এমনকি গ্যালারিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দু’দলের দু’জন ফুটবলার দেখেছেন লালকার্ড। ম্যাচের শেষদিকে ইকুয়েডর কোচকেও বহিষ্কার করেন রেফারি। গ্যালারিতে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে ছিল হাতাহাতির ঘটনা। এরপরও অদম্য মানসিকতার জোরেই জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া খেলেও ভাগ্যবিড়ম্বনায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে ইকুয়েডরকে। সব মিলিয়ে ম্যাচের সেরা দল ছিল তারাই। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ আধাঘন্টা একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। কিন্তু কখনও ক্রসবার, কখনও সাইডপোস্ট ঘাতক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বারবার সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় বিদায় নিতে হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে চমক দেখিয়ে চলা ইকুয়েডরকে। শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমজমাট হয়ে ওঠে। ম্যাচের ২২ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ক্লিন্ট ডেম্পসে। জার্মেইন জোনসের ক্রস থেকে আসা বলে দৃষ্টিনন্দন হেড করে গোল করেন তারকা এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর ৬৫ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যেও ছিলেন ডেম্পসি। এবার তার পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেছেন জারডেস। এই গোলটির আগে অবশ্য দুই দলেরই একজন করে খেলোয়াড় মাঠ ছাড়েন লালকার্ড দেখে। ৫২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ইকুয়েডরের তারকা ফুটবলার এ্যান্টোনিও ভ্যালেন্সিয়া মাঠ ছাড়েন। আর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের দায়ে সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার জার্মেইন জোনসকে। শেষের দিকে গোল করতে মরিয়া আক্রমণ শানাতে থাকে ইকুয়েডর। সাফল্য আসে ৭৪ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে ফ্রিকিক পায় দলটি। ফ্রিকিক থেকে বলটি ডি বক্সের সামনে আসলে চলন্ত বলে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মাইকেল এ্যারোয়ো। ম্যাচের বাকি সময়ে আরেকটি গোল পেতে মরিয়া থেকেও কাজ হয়নি ইকুয়েডরের। একটি গোল শোধের পরের মিনিটেই আরেকটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ইনার ভ্যালেন্সিয়ার হেড বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে সেরা ছাড়ের টিকেট নিশ্চিত করে আয়োজকরা। ম্যাচ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ জার্গেন ক্লিন্সম্যান বলেন, আমি খুব খুশি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে আমার ছেলেরা কিছুটা ক্লান্ত ছিল। তবু আমরা সেমিফাইনালে উঠতে পেরে খুশি। আশা করছি আরও বড় সাফল্য ধরা দেবে আমাদের। অন্যদিকে ইকুয়েডর কোচ গুস্টাভো কুইন্টেরোস রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
×