ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে সৌদি জেল ফেরত ইমামের কাজে যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৮ জুন ২০১৬

অবশেষে সৌদি জেল ফেরত ইমামের  কাজে যোগ

মোফাজ্জল হোসেন, বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ হজে গিয়ে সোনা চোরাচালানের দায়ে সৌদি জেলে দীর্ঘ ১৯ মাস আটক থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক হলের এক সিনিয়র পেশ ইমাম। সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন। এদিকে অনুমতি পাওয়ার আগেই তিনি ওই হলের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হজে যাওয়ার জন্য ছুটি নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সিনিয়র পেশ ইমাম বজলুর রশিদ। আলতাফ ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেল্সের মোয়াল্লেম হিসেবে হজ পালন করতে যান। হজ পালন করে ওই বছর ১ নবেম্বর কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। ছুটি শেষ হওয়ার দুই মাস পরও কাজে উপস্থিত না হওয়ায় ২০১৫ সালের জানুযারি মাসে সাত দিনের মধ্যে যোগাযোগ করতে তাকে চিঠি দেয় প্রশাসন। এরপর আরও একবার প্রশাসন চিঠি দিলেও কোনটিরই উত্তর দেননি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটিও নেননি। হজে তার কয়েক সঙ্গী জানান, হজ থেকে ফেরার পথে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সৌদি পুলিশ জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে কয়েকটি স্বর্ণের বারও উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রায় দুই মাস সৌদি আরবের জেলখানায় সাজা ভোগ করে ছাড়া পেলেও পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ায় দেশে আসতে পারেননি। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের চাকরিরতদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী কেউ ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনসাপেক্ষে বাধ্যতামূলক অবসরসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা আছে। এছাড়া একই ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ বা নৈতিকতাবিরোধী কোন কাজে জড়িত থাকলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
×