ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ পাবলিক ভার্সিটি হচ্ছে ॥ জেলায় আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৮ জুন ২০১৬

নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ পাবলিক ভার্সিটি হচ্ছে ॥ জেলায় আনন্দের  বন্যা

সঞ্জয় সরকার, নেত্রকোনা থেকে ॥ হাওড়-বাঁওড় অধ্যুষিত নেত্রকোনা জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নেত্রকোনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি প্রদান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম রাখা হতে পারে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, হ্যাঁ নেত্রকোনা জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এজন্য আইন তৈরি করা। মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এমনিতেই প্রতি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা আছে প্রধানমন্ত্রীর। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, প্রতি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। এছাড়া প্রতি উপজেলায় হবে সরকারী স্কুল ও সরকারী কলেজ। নেত্রকোনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নেরই অংশ। জানা গেছে, গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক পত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নেত্রকোনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির কথা জানানো হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। স্থানীয় পাঁচ এমপি এবং জেলা প্রশাসককেও ওই পত্রের অনুলিপি দেয়া হয়। নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় নেত্রকোনার বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অভিনন্দন জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি, রেবেকা মমিন এমপি, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক এমপি, ছবি বিশ্বাস এমপি, ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এপিএস-১ (নেত্রকোনার সন্তান) সাজ্জাদুল হাসান খান উপস্থিত ছিলেন। ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক এমপি জানান, এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি নেত্রকোনা সফর করারও আমন্ত্রণ জানান। যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান জানান, নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির বিষয়টি পত্র মারফত জানতে পেরেছি। তবে নেত্রকোনার ঠিক কোথায় এটি স্থাপন করা হবেÑ তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে জায়গা নির্ধারণ ও ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এদিকে সরকারী দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, জেলা সদরের আশপাশের সুবিধাজনক একটি জায়গাই বেছে নেয়া হবে। হাওড়-বাঁওড় অধ্যুষিত নেত্রকোনা জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি প্রদান করায় জেলাটিতে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। সরকারী দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে খুব শীঘ্র নেত্রকোনায় আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করা হবে।
×