ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সিম্বল এ্যান্ড শ্যাডোস’-এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়কাল

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৭ জুন ২০১৬

‘সিম্বল এ্যান্ড শ্যাডোস’-এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়কাল

মুক্তিযুদ্ধকালে বিদেশীরা বা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বেশ কিছু তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। যার কিছু কিছু বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের হাত অবধি পৌঁছেছে। আর মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও সাংবাদিকদের কল্যাণে হয়ত আরও দলিল ভবিষ্যতে উদ্ধার হবে। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিক বা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গবেষক-তথ্যচিত্র নির্মাতা দল যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করে যুদ্ধপরবর্তী জাতি ও তার ভবিষ্যত নিয়ে বিশ্লেষণমূলক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন এবং তাও আবার খোদ মার্কিন মুল্লুকের কোন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে- এমন কোন তথ্য মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মহলের জানা নেই। এ লেখায় অবতারণা সেই রকম একটি গবেষণাকৃত মুক্তিযুদ্ধকালীন তথ্যচিত্র নিয়ে। যদিও এ তথ্যচিত্র ১৯৭৩ সালে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে তুলে ধরেছে কিন্তু একই সঙ্গে সমাজের নানান বিষয়ের ভাবনার জন্ম দিয়েছে, যা আজকের সময়ে সমানভাবে প্রযোজ্য। আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তা অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, দক্ষিণ এশিয়া পাঠ্যক্রম এবং আমি বলব বাংলাদেশের পাঠ্যক্রম ও বাংলাদেশের তথ্যচিত্রের মূল্যবান বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ উন্মেষ কালকে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়কালে বাংলাদেশ নেশানহুড : সিম্বল এ্যান্ড শ্যাডেস (ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হযড়ড়ফ: ঝুসনড়ষং ধহফ ঝযধফড়ংি) নামের এই তথ্যচিত্রটি আর এক প্রতœতাত্ত্বিক দলিল। ১৯৭৫ সালে উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশীয় কেন্দ্র (ঈবহঃবৎ ভড়ৎ ঝড়ঁঃয অংরধ) দ্বারা নির্মিত। মিরা বিনফোর্ড ও মাইকেল কামেরিনি এর যৌথ গবেষণা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে ধারণকৃত ‘জাতিসত্ত্বা : প্রতীক ও প্রচ্ছায়ার বাংলাদেশ’। ৪৯ মিনিটের এ তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংঘাতের বিষয়ে সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দিয়েছে আজ থেকে একচল্লিশ বছর আগেই। যে কোন কারণেই হোক এ তথ্যচিত্র এতদিন অজ্ঞাত ছিল। উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্র, দক্ষিণ এশিয়া তথ্যচিত্র ধারা- তথ্যচিত্রটির সারসংক্ষেপ, উদ্দেশ্য, প্রয়োগ, সংক্ষিপ্ত চিত্রভাষ্য- যার ভেতর দিয়ে সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের বিষয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া, নির্মাণ প্রেক্ষাপট বর্ণিত আছে। দুটি অংশে বিভক্ত তথ্যচিত্রটি। প্রথম ২০ মিনিটে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বর্ণনা এবং পরবর্তী অংশে স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনা ও জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া। আরও আছে বাংলাদেশের একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামের বিবরণ। প্রথমটি ব্রিটিশ-ভারত রাজত্বের শৃঙ্খল ভাঙ্গার এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের। আর এ লড়াইয়ের মূল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয় চার মূলনীতি, জাতির লক্ষ্যকে ঘিরে তথ্যচিত্রের বিস্তার। ‘জাতীয়তাবাদ’ এর যে উত্তর খোঁজা হয়েছে এ তথ্যচিত্রে- একজন স্কুল শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধার চোখে সর্বোপরি মুজিববাদের প্রেক্ষাপটে, তা আজও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আছে ভারতের সঙ্গে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কথা। সেই সঙ্গে ‘চার নীতির’ অস্বচ্ছ ধারণার প্রেক্ষিতে উপরোক্ত প্রশ্নসমূহ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে কী যখন চালের দাম, আন্তর্জাতিক পাটের বাজার, বৈদেশিক সহায়তার সুযোগ, মূল্যস্ফীতি, চোরাচালান, কালোবাজার, দুর্নীতি, আইনের শাসন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বিষয়গুলো সামনে এসে পড়ে? তথ্যচিত্রের শেষ হয় মুক্তিযোদ্ধার জবানীতে। তথ্যচিত্রের সংক্ষিপ্ত কাঠামো রিকসাচিত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের চিত্র দিয়ে তথ্যচিত্রের শুরু। আর ৭১ পরবর্তী রাজধানী ঢাকা, ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে সাধারণের ‘জাতি’ সম্পর্কে ধারণা ও আশাবাদ নিয়ে তথ্যচিত্রের বুনন। আছে আশাবাদ- একদল গ্রামের মহিলা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তাদের মেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ করে আরও ভাল জীবন যাপন করবে। আছে ব্যবসায়ীর দৃঢ় আশাবাদ, বাঙালীরা দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবে। আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি, ‘আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমরা বাঙালী এবং এদেশের মাটি আমাদের মাটি।’ আছে মুক্তিযোদ্ধার কথা- কেন তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, স্মরণ করেছেন তার সহযোদ্ধাদের- যারা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ১৯৭৩ সালে যখন তথ্যচিত্রটির কাজ করা হয় তখন দেশের জনসংখ্যা ছিল প্রতি বর্গমাইলে ১,৪০০। শতকরা নব্বুই ভাগ জনগণের আবাস গ্রাম, আর তাদের এক-তৃতীয়াংশ ছিল ভূমিহীন। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উপরিভাগের অধিকাংশ ভূমির বদ্বীপ-বন্যা ও ঘূর্র্ণিঝড়ের নিয়মিত গ্রাস। তারপরও উর্বরা জমি দেয় বছরে তিনটি ফসল, প্রধানত ধান ও পাট। রয়েছে এইসব বাস্তব প্রেক্ষাপট। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বুঝাতে তথ্যচিত্রে উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজত্ব এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের বিস্তার থেকে বর্ণনা শুরু। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগ, ভারত পাকিস্তানের অভ্যুদয়, পাকিস্তানের মূল ভূখ- থেকে পূর্ব পাকিস্তানের ১,০০০ মাইল দূরত্ব, পাকিস্তানের উপনিবেশিক চরিত্রও ধাপে ধাপে বর্ণিত হয়েছে এ তথ্যচিতে। উল্লেখ আছে ১৯৭১ সালের মার্চে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ১ কোটি উদ্বাস্তু মানুষ ভারতে আশ্রয় নেন। এমনকি তথ্যচিত্রের নির্দেশিকা বলছে আশ্রিত ১ কোটি মানুষের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশই ছিল হিন্দু। এখানে দেখার বিষয় হলো পাক হানাদার বাহিনীয় নৃশংসতা ও অত্যাচার এ তথ্যচিত্রে কিভাবে উঠে এসেছে। বর্ণনা বিশদ নেই, কিন্তু স্থিরচিত্র আছে। কিন্তু আছে পাকিস্তানী সেনাদের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বেগতিক অবস্থার উল্লেখ, ১৯৭১-এর ডিসেম্বরে ভারতের যুদ্ধে যোগদান, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং তার ঘোষণা- ‘আজ থেকে বাংলার মানুষ স্বাধীন... আমাদের এই দেশ হবে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দেশ।’ এসব অনুপুঙ্খে আছে এ তথ্যচিত্রে। বোঝাই যায় যথেষ্ট যতœ ও গবেষণা করা হয়েছে তথ্যচিত্রটির নির্মাণে। নির্মাণের নেপথ্যপট মিরা বিনফোর্ড বা মাইকেল কামেরিনি যখন ১৯৭১ সালে তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য ভারতে যান, বাংলাদেশের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণের বিষয়ে তাদের কোন ধারণাই ছিল না তাদের। প্রস্তুতির শেষ দিকে যখন যুদ্ধের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের দুঃসহ পরিণতি, লাখো উদ্বাস্তু মানুষের ভারতে আশ্রয়- বাংলাদেশ বিষয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের ধারণার জন্ম দেয়। ১৯৭২ সালে দু’জনেই বাংলাদেশে আসেন এবং তারা নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান, ফিরে এসে তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে যখন মিরা ও মাইকেল ফিরে আসেন বাংলাদেশে স্বাধীনতার প্রথম পর্বের উচ্ছ্বাস তখন আর নেই। তারা দেশের নেতাদের সম্পর্কে অনেক সমালোচনা শুনতে পান। শেখ মুজিবুর রহমান তাদের সাক্ষাতকার দেননি- যদিও তিনি ক্যামেরার সামনে নিজ কর্মস্থলের চিত্র ধারণ করতে দেন। যে সময়ে মিরা ও মাইকেল বাংলাদেশ ছেড়ে যান, তখন তাদের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য ও ধারণকৃত চিত্র। ছিল না কোন বিশেষ পূর্বধারণা- ঠিক কিভাবে তথ্যচিত্রটির কাজ শুরু করবেন। ম্যাডিসন-উইসকনসিনে ১৯৭৪ শেষে ফিরে আসার পর মিরা ও মাইকেল ভারতের ওপর ২টি তথ্যচিত্র নির্মাণ শেষ করেন এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যচিত্রের কাজ শুরু করেন। যেহেতু তারা কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া তথ্যচিত্রটি ধারণ করেছিলেন, সেহেতু তাদের পস্তাতে হয়। কোন একটি ধারণা পাওয়ার জন্য তারা এডিটিং টেবিলে ফুটেজগুলো দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করেন। শেষ পর্যন্ত অধ্যাপক এলডার তাদের সহায়তায় ৬টি বিষয় শনাক্ত করেন যার ওপর তাদের ধারণ করা ফুটেজের ভিত্তিতে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ হতে পারে। শেষে- শেখ মুজিবুর রহমানের চার রাষ্ট্রীয় নীতি বিষয়ে বাংলাদেশ নেশানহুড : সিম্বল এ্যান্ড শ্যাডোস (ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হযড়ড়ফ : ঝুসনড়ষং ধহফ ঝযধফড়ংি.) জাতিসত্তা : প্রতীক ও প্রচ্ছায়ার বাংলাদেশ -তথ্যচিত্রটি নির্মাণ কাজ করেন মিরা ও মাইকেল। চাই গবেষণা প্রকল্প ২০১৬ সালের বাংলাদেশ তিনটি সাময়িক শাসনের সঙ্কটময় কাল পেরিয়ে উত্তরণের পথ খুঁজছে। জাতীয় আয় বেড়েছে, বেড়েছে উন্নয়নের সূচক। ১৯৭৩ সাল থেকে আজ তা চার দশক পেরিয়ে। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচার প্রক্রিয়ার দলিল পত্র হিসেবে তথ্যচিত্রের উপযোগিতা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান ‘মুক্তচিন্তা’র নামে ধর্মীয় লেবাসধারী মহলের নগ্ন হত্যাকা-ের সঙ্কটকালে ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার রূপ ও রূপান্তর খুঁজতে এ তথ্যচিত্র হয়ত একটি মূল্যবান দলিল হতে পারে। ধর্মীয় উগ্রতার যে নগ্নরূপ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক- শিক্ষকের ‘চাপাতি’র কোপ মেরে জীবন হরণ- আজকের সেই বাংলাদেশ নিশ্চয়ই ১৯৭২ সালের জাতীয় মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা বোধকে ধারণ করে না। আবার ধর্মনিরপেক্ষতা প্রত্যয়গুলো কতটাই বা সাধারণ মানুষকে বোঝানো গিয়েছিল? চার দশকের মধ্যে জাতির মননের যে পরিবর্তন হয়েছে তার সমাধান পেতে চাইলে গোড়া থেকে অনুসন্ধান করতে হবে। নইলে ১৯৭৫ এ সপরিবারে মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের পর যেমন জাতীয় চার মূলনীতির, বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারা তাঁর অপারগতা হিসেবে প্রচার পেয়েছিল (এলডার, ১৯৭৫), তেমনি বর্তমান সঙ্কট ‘নাস্তিক’ মানেই ধর্মহীনতা- জাতির পরিচয়ে সেঁটে যেতে সময় লাগবে না। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ভাষায়ই পাওয়া যাবে এর সমাধান- ‘যুগটি এখনও জাতি রাষ্ট্রের যুগ আর এখনও সমস্যাটি হচ্ছে জাতিগত সমস্যা।’ জাতির স্বরূপ সন্ধানে ঐতিহাসিক তথ্যচিত্র, তা যে উদ্দেশ্যেই নির্মিত হোক না, তার ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ভাল খবর হচ্ছে তথ্যচিত্রের নির্মাতা পরিচালকদ্বয় এবং প্রকল্প পরিচালক প্রত্যেকেই জীবিত আছেন। যোগাযোগ আরও এগোলে তাদের কাছেই তথ্যচিত্রের বাইরেও অনেক মূল্যবান তথ্য এমনকি ফুটেজও পাওয়া যেতে পারে। সহযোগী পরিচালক শিরিন হক জানিয়েছেন এখনও অনেক ফুটেজ প্রফেসার এলডারের বেইজমেন্টে পড়ে আছে যা তথ্যচিত্রে ব্যবহারই হয়নি। কিন্তু পুরো কাজটি করার জন্য চাই একটি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষণ উদ্যোগ।
×