ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দা মোতাহেরা বানু

নজরুল-নার্গিস বিয়ে যা কখনও সম্পন্ন হয়নি

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ১৭ জুন ২০১৬

নজরুল-নার্গিস বিয়ে যা কখনও সম্পন্ন হয়নি

নজরুল জীবনের অন্যতম সুহৃদ-শুভাকাক্সক্ষী এবং অভিভাবক ছিলেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। তাঁর লেখা ‘কাজী নজরুল প্রসঙ্গে : স্মৃতিকথা’ মে, ১৯৫৯ সালে তিনি স্বীকার করেছেন এটি সংক্ষেপিত এবং অনেক ভুল তথ্যও ঢুকে গিয়েছিল। এই ভুল তথ্য থেকে নজরুল-জীবনীকাররাও বিভ্রান্তির স্বীকার হবেন। এরপর জেলে থাকা অবস্থায় তিনি নতুন করে তত্ত্ব ও তথ্য সংবলিত করে ‘কাজী নজরুল ইসলাম : স্মৃতিকথা’ আরেকটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। গ্রন্থগুলোর প্রকাশকাল ও যথাক্রমে (বাংলাদেশে প্রকাশ, অক্টোবর, ১৯৭৩, দ্বিতীয় প্রকাশ জুলাই ১৯৭৬, তৃতীয় প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭, চতুর্থ প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯৯৫, প্রকাশক : মুক্তধারা, ৭৪ ফরাশগঞ্জ, ঢাকা ১১০০)। আলোচ্য প্রবন্ধে সব তথ্য ও তত্ত্বও শেষোক্ত গ্রন্থ থেকে নেয়া। নজরুল জীবনের অন্যতম আলোড়িত ও আলোচিত বিষয় নজরুল নার্গিস বিয়ে প্রসঙ্গ। নজরুল জীবনীকাররাও এ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন কেননা পাঠককুল ও সতৃষ্ণ নয়নে ও মনে নজরুলের এ দিকটির দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছেও প্রচুর- প্রবন্ধ নাটক এমনকি উপন্যাস পর্যন্ত। নজরুলের জন্মদিন এলেই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার পায় বিষয়টি, এমনকি দৌলতপুরে অবস্থিত নজরুল-নার্গিসের বিবাহোত্তর বাসরঘর ও পালঙ্কটি পর্যন্ত দেখানো হয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়। শুধু তাই নয় নার্গিসকে তালাকের দিনক্ষণ, নজরুল নার্গিসকে ভূরি ভূরি কবিতা উপহার দিয়েছেন ইত্যাদি। কিন্তু পাঠককুল জেনে হতাশ হবেন নজরুল ও নার্গিসের বিয়ে আদৌ সম্পন্নই হয়নি। একটু পেছনে ফেরা যাক নজরুল সেনাবাহিনী থেকে এসে ওঠেন ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ৩২নং কলেজ স্ট্রিটের বাড়িতে সেখানেই আলী আকবরের সঙ্গে নজরুলের পরিচয়। কুমিল্লা (ত্রিপুরা) জেলার দৌলতপুর নিবাসী আলী আকবর পেশায় ছিলেন পুস্তক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তক লিখে বিত্তশালী হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। এ উপলক্ষে কবিতাও লিখতেন তিনি। এই কবিতা দেখে হতাশ হয়েই নজরুল একদিন ‘লিচু চোর’ কবিতাটি লিখে দিয়েছিলেন। এই কবিতাটিই নজরুলের কাল হয়েছিল এবং নজরুলের জীবন অনেক বিষাদময় হয়েছিল। নজরুলের অন্যতম সুহৃদ ও শুভাকাক্সক্ষী কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ ‘কাজী নজরুল : ইসলাম স্মৃতিকথা’ আলী আকবরের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আলী আকবরের স্বভাবে বড় বেশি কৃত্রিমতা ও নাটকীয় ভাব ছিল। তার ওপরে, তিনি ইউরোপীয় পোশাক পরতেন এবং ইংরেজীতে ছাড়া কথা বলতেন না।’ তার সম্বন্ধে আরও বলেছেন ‘নির্লজ্জ, মিথ্যাভাষী’, এবং ‘তিনি একটি খারাপ ব্যাধিতেও ভুগছেন।’ (পৃ-৯৮) আলী আকবরের স্বভাবেও ছিল নাটকীয়তা। এই মেসে একদিন আলী আকবর খান নজরুলকে সবার সামনেই প্রস্তাব দিয়ে বসলেন দৌলতপুর যেতে ‘চলুন কাজী সাহেব আমার সঙ্গে আমাদের দেশে।’ কিন্তু মুজফ্ফর আহ্মদ নজরুলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন,- ‘দেখ ভাই, আমার পরামর্শ যদি শুনতে চাও তবে তুমি কিছুতেই আলী আকবর খানের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে যেও না। তিনি অকারণে অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যান, যেন অভিনয় করছেন এই রকম একটা ভাব তাঁর কথাবার্তার ভেতর দিয়ে সর্বদা প্রকাশ পায়। কি মতলবে তিনি তোমায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চান তা কেউ জানেন না। তিনি তোমাকে একটা বিপদেও ফেলতে পারেন।’ কিন্তু নজরুল সে কথায় কান না দিয়ে শেষ পর্যন্ত আলী আকবর খানের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। সেটা ছিল ১৩২৭ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস (১৯২১ সালের মার্চ-এপ্রিল) পৃ-১০২। নজরুলের বয়স ছিল তখন ২২। আলী আকবরের ফাঁদে নজরুল পা বাড়ালেন। অভিভাবকহীন নজরুলের অল্পবয়সের চঞ্চলতা চপলতা ও অকপট সারল্য নজরুলকে দুর্যোগময় সেই ঘটনার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল। নজরুলের যেমন স্বভাব ছিল খুব সহজেই অন্যকে আকর্ষণ করা, তেমনি নজরুলও ‘অদ্ভুত ধরনের লোক দ্বারা আকর্ষিত হতেন। আলী আকবর ছিলেন দাম্ভিক, মিথ্যাবাদী ও শঠ। এসব জেনেও নজরুল তার আকর্ষণ এড়াতে পারল না। সে কিছুই গভীরভাবে বুঝতে পারল না। কিন্তু আলী আকবর খানের সবকিছুই ছিল সুপরিকল্পিত। লাভ-লোকসানের হিসাব খতিয়ে দেখে তিনি কাজে এগোচ্ছিলেন। ‘লিচু-চোর’ কবিতা থেকেই খান সাহেব বুঝে নিয়েছিলেন যে সে তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে চমৎকার খাপ খেয়ে যাবে। লিচু-চোর তাঁকে বুঝিয়ে দিল যে কবি ছোটদের মন বোঝে। অতএব শিশু কবিতার রাজ্যে জয়-জয়কার হবে ভাবি প্রকাশক আলী আকবর খানের। যে শিশুদের জন্য কবিতা লিখতে পারে। সে গদ্যে তাদের জন্য বইও লিখতে পারবে। যেমন করেই হোক কবিকে নিজের মুঠোর ভেতরে নিয়ে আসাই ছিল আলী আকবর খানের পরিকল্পনা।’ (পৃষ্ঠা সংখ্যা-১০২-১০৩) নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে আলী আকবর খান প্রথমে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে শ্রী ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসায় পৌঁছুলেন। তিনি ছিলেন ত্রিপুরা জেলার কোর্ট অব ওয়ার্ডসের একজন ইন্সপেক্টর। আলী আকবর খান তাঁর পুত্র বীরেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের সহপাঠী ছিলেন। এবং তখন থেকেই তাঁর বাসায় তার যাতায়াত ছিল। সেই সুবাদে আলী আকবর নজরুলকে নিয়ে প্রথমে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাড়িতে ওঠেন এবং নজরুলও রীরেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের মা বিরজাসুন্দরী দেবীকে ‘মা’ বলে ডাকেন। নজরুল তার স্বভাব অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যেই এই মহিলাকে এবং পুরো পরিবারকেই আপন করে নেন। পরিবারটিতে সাহিত্য ও সঙ্গীতের আবহাওয়া বিরাজ করছিল। ইতোমধ্যে কবি হিসেবে নজরুলেরও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই নজরুল এখানে আপনজনের মতোই অভ্যর্থিত হলেন। তারা নজরুলকে পেয়ে খুব আনন্দিত হলেন। সেখানে ২-৩ দিন থেকে তারা দৌলতপুর রওনা দিয়েছিলেন। সেখানেও নজরুল সমাদরে আদৃত হন। দুই-তিন দিনের মধ্যেই আলী আকবরের ভাগিনী সৈয়দা খাতুনের সঙ্গে নজরুলের সাক্ষাত হয়। নার্গিসই প্রথম উপযাজক হয়ে এগিয়ে আসেন নজরুলের গান নয়, বাঁশি শুনে। অথচ সেখানে বাঁশির জাদুকর ছিলেন আফতাব উদ্দীন খান। এই ঘটনার মাত্র দুই মাসের মধ্যে নজরুল-নার্গিসের বিয়ের সম্বন্ধ স্থির করেন আলী আকবর। বিয়ের কথা স্থির হতেই আলী আকবর খান ভাগিনীকে ‘গড়েপিটে মানুষ করতে লাগলেন। নজরুলের যোগ্য স্ত্রী করার জন্য তিনি তাকে শরৎচন্দ্রের লেখা হতেও অন্যান্য লেখকের লেখা নারী চরিত্র সম্বন্ধে বিশেষ বিশেষ অংশসমূহ পড়ে শোনাতে ও বোঝাতে লাগলেন। গড়ন পিটনটা অতি মাত্রায় হয়ে যাচ্ছিল। নজরুলেল মোটেই তা মনঃপূত ছিল না। কিন্তু তার বাগদত্তা ও আলী আকবর খান সেদিকে ভ্রƒক্ষেপ করলেন না।... খান সাহেবের বাড়ির কর্ত্রী তাঁর যে দিদি তাঁর এসব বাড়াবাড়ি দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গ্রাজুয়েট ভাইয়ের ওপর কথা বলবে কে? নজরুল ইসলামের মন ভেঙ্গে গেল সে সম্পূর্ণরূপে বিতৃষ্ণ হয়ে পড়ল এই বিয়ের ওপরে। এই ব্যাপারটি ছিল আলী আকবর খান ও তাঁর ভাগিনীর তরফ হতে নজরুলের উপরে চরম আঘাত ও অপমান।’ (পৃ ১১০) এসব কিছুই সাজানো নাটকের মতোই মনে হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৩ আষাঢ় ১৩২৮ বঙ্গাব্দ। কুমিল্লায় ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাড়িতেও বিয়ের নিমন্ত্রণ গিয়েছিল, আলী আকবর খান কুমিল্লা গিয়ে ঐ পরিবারের প্রায় সকলকে বিয়েতে নিয়ে এসেছিলেন। এ বিবাহ- মজলিসে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের পরিবার ছাড়া আর যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দৌলতপুরের পার্শ¦স্থ বাঙ্গোরার জমিদার রায় বাহাদুর রুপেন্দ্র লোচন মজুমদার এবং বাঙ্গোরা হাই স্কুলের হেড মাস্টার বাবু অবনীমোহন মজুমদার। (মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, ‘কুমিল্লায় নজরুল’) এই বিয়েতে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তার একটি বর্ণনা বিরজাসুন্দরী দেবীর চিঠিতে পাওয়া যায়। তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন ভ্রমণ কাহিনীর ছদ্ম আবরণে, তার কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি: সাতাশ বছর পর আজ আবার নন-কো-অপারেশন উপলক্ষে এ বি. রেলওয়ের হরতালের ব্যাপারে গাড়িতে যেতে না পেরে নৌকাপথে বিয়ের যাত্রী নিয়ে ‘ত্রিজেলায়’ (ত্রিপুরা জেলায়) ‘কো-গনজের’ (কোম্পানি গন্জ) নিকটস্থপুর দৌলতপুর অভিমুখে রওয়ানা হলুম।... ২ আষাঢ় খালে কেবল জল এসেছে... আমাদের নৌকায় মেয়ে মানুষ আমি, আমার বিধবা জা, বৌ, তিনটি ছোট মেয়ে। আর পুরুষ- আমার স্বামী ও দুই ছেলে, ‘বী’ (বীরেন্দ্রকুমার সেনগুপ্ত) ও ‘আ’ (আলী আকবর খান) এবং আমার বোন্পো ‘স’ (সন্তোষকুমার সেন) আর ছোট একটি নাতি। নজরুল নার্গিসকে সত্যই ভালবেসেছিল। কিন্তু নার্গিসকে নিয়েই আলী আকবর খানের উপরে নজরুলের ঘৃণা তৈরি হয়েছিল। কোন অবস্থাতেই নার্গিসের সঙ্গে নজরুলের মিলন সম্ভব ছিল না। যে বিয়ে নিয়ে এত হইচই সেই বিয়ে আদৌ সম্পন্ন হয়েছিল কি-না তা নিয়ে মুজফ্ফর আহ্মদ সংশায়িত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর ‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’র তৃতীয় মুদ্রণে (বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশ, অক্টোবর, ১৯৭৩, চতুর্থ প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৯৯৫) পূর্বের সংস্করণের ত্রুটির কথা স্বীকার করে লিখেছেন, ‘৬ জুলাই (১৯২১) রাত্রি বেলা নজরুল যখন আমায় তার দৌলতপুরের কথাগুলি বলছিল তখন আমি তার নিকট হতে পরিষ্কার করে নিইনি যে নার্গিসের সঙ্গে তার আক্দ হয়েছিল কিনা। অথচ, ‘আক্দ’ হয়েছিল ধরে নিয়ে ১৯৫৯ সালে আমি আমার ‘কাজী নজরুল প্রসঙ্গে’ নামক পুস্তকে লিখেছিলাম যে ১৯২১ সালে ‘নজরুল ইসলামের সঙ্গে একটি মুসলিম মেয়ের আক্দ হয়েছে (বিয়ের চুক্তি) হয়েছিল।’ তখন যদি আলী আকবর খানের জাল করা ‘বাবা শ্বশুর’ মার্কা পত্রখানাও আমার হাতে পড়ত তবে আমি বুঝতে পারতাম যে বিয়ে হয়নি। এটা বোঝার পরেও আমি সন্তোষকুমার সেনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম। আমার ভুলের জন্য আমি অনুতপ্ত। সঙ্গে সঙ্গে আমি আনন্দিতও যে তৃতীয় মুদ্রণে হলেও সঠিক তথ্যের সংযোজন আমি করতে পারলাম।’ (পৃ-১৩১) কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে যে সৈয়দা খাতুন ওরফে নার্গিস বেগমের বিয়ে (আক্দ) হয়নি এই সম্বন্ধে আমি স্থির নিশ্চিত হয়েছি। ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসা হতে যে ক’জন নিমন্ত্রিত দৌলতপুরে গিয়েছিলেন তাঁদের ভিতরে সন্তোষকুমার সেন নামক পনেরো ষোলো বছর বয়স্ক একজন কিশোর ছিল। তার কথার্বাতা বোঝার ও মনে রাখার বয়স হয়েছিল। ঘটনা মিলিয়ে নেয়ার জন্য আমি তাকে গত ক’বছর খুঁজছিলাম। অবশেষে সন্তোষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। সে ভারত গভর্নমেন্টের একজন গেজেটেড অফিসার ছিল। এখন অবসর গ্রহণ করেছে। তার দেওয়া তথ্য হতে বোঝা যাচ্ছে যে আলী আকবর খানও বিয়ে ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর মুসাবিদা করা কাবিননামায় একটি শর্ত এই ছিল যে কাজী নজরুল ইসলাম দৌলতপুর গ্রামে এসে নার্গিস বেগমের সঙ্গে বাস করতে পারবে, কিন্তু নার্গিস বেগমকে অন্য কোথাও সে নিয়ে যেতে পারবে না। এই শর্ত নজরুল ইসলামের পৌরুষে বেধেছিল। তাই সে বিয়ে না করে বিয়ের মজলিস হতে উঠে রাত্রেই হেঁটে সে কুমিল্লা চলে গেল।’ নজরুল জীবন ও সাহিত্যের অন্যতম গ্রন্থকার ড. রফিকুল ইসলাম তাঁর নজরুল-জীবনী গ্রন্থে (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্কারণ, একুশে গ্রন্থমেলা, ২০১৫. নজরুল ইনস্টিটিউট, পৃষ্ঠা সংখ্যা-১৩৩) বিষয়টির যথাযোগ্য উপস্থাপন করেছেন।
×