ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৭ জুন ২০১৬

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রমজানের বাজারে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি টেনে ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কয়েক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক টিম গঠন করে অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিক্রয় মূল্যের ওপর নজর দিয়েছে। এতে ভোক্তারা যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি সচেতনতাও বাড়ছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে। সে সঙ্গে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও সহায়তা করার বিষয়টি নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। অপরদিকে, চরম ক্ষোভ অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিলেও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির লাগাম টেনে ধরতে হলে এ ধরনের মোবাইল অভিযান ব্যতীত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কয়েক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার নগরীর স্বনামধন্য ও বিত্তশালী মার্কেট হিসেবে পরিচিত মিমি সুপার ও আফমি প্লাজায় অভিযান চালিয়ে এক অসাধু ব্যবসায়ীকে ক্রয়মূল্যে পোশাক বিক্রির নির্দেশ দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ওই মার্কেটে আগামী তিন দিন মনিটরিংয়ে থাকবে জেলা প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামে রমজানকে ঘিরে কাঁচাবাজার, মসলার বাজার, ফলের বাজার শেষ পর্যন্ত কাপড়ের বাজারেও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে ভোক্তাকে ফুতুর করার পাশাপাশি একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে নগদ অর্থ। জেলা প্রশাসকের দফতরে কয়েকদফায় ভোক্তাদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পড়ায় জেলা প্রশাসন তা প্রত্যক্ষভাবে পরীক্ষায় নেমেছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হলেও বিশেষ কিছু মার্কেট অভিযানের আগেই সতর্কতা অবলম্বন করছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অভিযানের বিষয়টি আগেভাগেই জেনে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের রক্ষায় অনেকটা সচেষ্ট। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালানো হয় নগরীর বিত্তশালী এলাকার অভিজাত বিপণি মিমি সুপার ও আফমি প্লাজায়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকটি দোকানে ক্রেতাবেশে পোশাকের মূল্য যাচাই-বাছাইকালে কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেছেন। এর কারণ হিসেবে রয়েছে, ৫ হাজার টাকায় কেনা মেয়েদের একটি জামা বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকায়। তিন হাজার টাকার জামা বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকায়। এমন জালিয়াতির কারণে কয়েক দোকানিকে সতর্ক করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। নগরীর প্রায় দু’শত মার্কেটে থাকা ১০ হাজারেরও বেশি দোকান মালিককে সতর্ক করতেই মূলত এ অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। গত ১৫ জুন থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে বিভিন্ন মার্কেটে জেলা প্রশাসনের মোবাইল অভিযান। এর মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফালোভীদের উপর নজরদারি। তবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মার্কেটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে অংশ নিচ্ছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান, তাহমিনা আক্তার, সাব্বির রহমান সানি, ইশতিয়াক আহমেদ, সানজিদা সুলতানা, ফোরকান এলাহী অনুপম, নাঈমা ইসলাম, শেখ নুরুল আলম ও রঞ্জন চন্দ্র দে।
×