ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রেমিকের প্রতারণা

প্রেমিকার ঠাঁই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পতিতালয়ে

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৭ জুন ২০১৬

প্রেমিকার ঠাঁই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পতিতালয়ে

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ কিশোরী কল্পনা খাতুন। প্রেমিক সাদ্দামের কাছে প্রতারিত হয়ে ঠাঁই হয়েছে ভারতের পতিতালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও জেলার গাইগাঁও থানার ঠাকুর নগর গ্রামের নারী পাচারকারী চক্রের হাতে তাকে বিক্রি করে দেয় সাদ্দাম। তিনমাসের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে প্রেমের টানে চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের (৩০) হাত ধরে ৯ জুন পালিয়ে যায় কিশোরী বধূ কল্পনা খাতুন। এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কল্পনার বাবা আব্দুর রহিম। ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রেমঘটিত বিষয়। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় পুলিশের ভয়ে ওপারে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সমাধান হলে তারা চলে আসে। কল্পনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের আব্দুর রহিম (কলম) মিয়ার কল্পনা খাতুন ভুরুঙ্গামারী কিশলয় বিদ্যা নিকেতনের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। তিন মাস আগে একই উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবুর সঙ্গে বিয়ে হয়। আব্দুর রহিম জানান, কল্পনা গত ৮ জুন বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী জুলেখা খাতুন ও কহিনুর বেগম কল্পনাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মতো কহিনুরের দুঃসম্পর্কের ভাই চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের হাতে তুলে দেয় তারা। এরপর সাদ্দাম কল্পনাকে নিয়ে উধাও হয়। সাদ্দামের সঙ্গে কল্পনার বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারে কহিনুর ও জুলেখাকে চাপ দিলে কল্পনাকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। এর কয়েকদিন পর বিশ্বজিৎ নামে ভারতের নারী পাচারকারী দলের সদস্য মোবাইলে সাদ্দামের বড়ভাই মজনু মিয়াকে জানায়, কল্পনা এখন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বনগাঁও জেলার গাইগাঁও থানার ঠাকুরনগর গ্রামে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
×