ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২৮ জুন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১৭ জুন ২০১৬

আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২৮ জুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়া মারা আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের (চার্জ) আদেশ আগামী ২৮ জুন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক। এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর এমপি আব্দুল আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ২৬ নবেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আবদুল আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের মৃত আলম উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান সরকার বাদী হয়ে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধকালে আজিজার রহমানের বড় ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে ওই মামলাটি করা হয়। অপরদিকে ধর্মপুর গ্রামের আকবর আলীকে হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন আনিছুর রহমান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২০ নবেম্বর সাবেক এমপি আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার অন্য ৬ আসামি হলেন আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ, মোঃ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মোঃ আবদুল লতিফ, আবু মুসলেম মোঃ আলী, মোঃ নাজমূল হুদা ও মোঃ আব্দুর রহিম মিয়া। এই ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৩(১), ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৫ জনকে হত্যা-গণহত্যা ও তাদের মরদেহ গুম, ৩ জনকে আটক ও অপহরণ করে নির্যাতন এবং তাদের বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ।
×