ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্থানীয় সরবরাহকারীর মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৭ জুন ২০১৬

স্থানীয় সরবরাহকারীর মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক দরপত্রের আওতায় স্থানীয়ভাবে পণ্য সরবরাহকারীকে বৈদেশিক মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করা যাবে। বৃহস্পতিবার বাংরাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠেয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র স্থাপন ছাড়াও আন্তর্জাতিক দরপত্রের আওতায় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের ক্রয়াদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্থানীয় কন্ট্রাক্টরের অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ ঋণপত্র স্থাপন করা যাবে। বৈদেশিক মুদ্রায় স্থাপিত ঋণপত্রের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত এফসি (ফরেন কারেন্সি) ক্লিয়ারিং হিসাবের মাধ্যমে বিলমুল্য পরিশোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। বিলমূল্য বাবদ প্রাপ্ত মূল্য বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় ৩০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করে থাকে। এই দরপত্রে আন্তর্জাতিক সব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে স্থানীয় অনেক সরবরাহকারী অংশ নেন এবং কাজও পান। কিন্তু সরবরাহকারী স্থানীয় হওয়ায় তাদের বিলমূল্য স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই নির্দেশনায়, এখন থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের আওতায় স্থানীয় সররবারহকারীরাও বৈদেশিক মুদ্রায় বিলমূল্য পাবেন। যা ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের ব্যবস্থায় এই পণ্য সরবরাহকে রফতানি হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত হবে। বাইসাইকেল রফতানি হ্রাস অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৭১৮ কোটি টাকার বাইসাইকেল রফতানি করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার রফতানি আয় কমেছে ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এই সময়ে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫২ কোটি টাকা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের প্রকৌশল শিল্পজাত পণ্য রফতানিতে বাইসাইকেলের অবদান ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৫৬ কোটি টাকার সাইকেল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি ছিল ১ হাজার ৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে বেশির ভাগ বাইসাইকেল রফতানি হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে উৎপাদিত বাইসাইকেল মূলত যুক্তরাজ্য, জার্মানি, হল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল ও কানাডায় রফতানি হয়। প্রতি মাসে দেশ থেকে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি টাকার সাইকেল রফতানি হচ্ছে। দেশের উৎপাদিত বাইসাইকেল ইউরোপের দেশগুলোতে বিক্রি হলেও দেশের বাজার এখনও আমদানিনির্ভর। বর্তমানে ফ্রিস্টাইল, মাউন্টেন ট্র্যাকিং, ফ্লোডিং, চপার, রোড রেসিং, টেন্ডমেড ধরনের বাইসাইকেল রফতানি হচ্ছে। এসব সাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করা হলেও বেশির ভাগ যন্ত্রাংশই দেশে তৈরি হচ্ছে। বিশেষত চাকা, টিউব, হুইল, প্যাডেল, হাতল, বিয়ারিং, আসন তৈরি করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ বাইসাইকেল মার্চেন্টস এ্যাসেম্বলিং এ্যান্ড ইম্পোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নুরুল হক বলেন, খুচরা বাজারে দেশের সাইকেলের চেয়ে বিদেশী পণ্যের চাহিদা বেশি। সাইকেলের পার্টস আমদানি করা হচ্ছে। এরপর সংযোজন করে পূর্ণাঙ্গ সাইকেল হিসেবে বাজারে যাচ্ছে। সাধারণত ভারত ও চীন থেকে এসব পার্টস আমদানি হয়।
×