ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জুন মাসের প্রথম পাক্ষিকে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৭ জুন ২০১৬

জুন মাসের প্রথম পাক্ষিকে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার আভাস মিলছে। কিছুদিন আগে ব্যাংকের বিনিয়োগের সীমা সমন্বয় বিষয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ার দেশের চাইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেশি সক্রিয় হয়েছেন। যার কারণে চলতি জুন মাসের প্রথম পাক্ষিকে অর্থাৎ প্রথম ১৫ দিনে বিদেশী লেনদেন বেড়েছে। বিশেষ করে বিদেশী বা প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের পত্রকোষে শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের তথ্যানসুারে প্রথম ১৫ দিনে ডিএসইতে বিদেশী লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের মাসে অর্থাৎ মে মাসের প্রথম ১৫ দিনে যার পরিমাণ ছিল ৩৩১ কোটি ৯৬ হাজার টাকা। একইভাবে গত মে মাসেও আগের মাসের তুলনায় বিদেশী লেনদেন বেড়েছিল। গত মে মাসে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা আগের মাসে (এপ্রিল) ছিল ৭১১ কোটি টাকা। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন করেছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে শেয়ার বিক্রির চেয়ে কেনায় অবদান বেশি। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিদেশীরা সবসময় কোম্পানির সার্বিক অবস্থা ও বর্তমান শেয়ারের দাম দেখে, গবেষণার পর শেয়ার কেনেন। এটা পুঁজিবাজারে জন্য ইতিবাচক। তিনি বলেন, মন্দার বাজারে বিদেশীদের বিনিয়োগ দেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। আশা করছি দেশী বড় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সক্রিয় হবেন। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, শেয়ারের দাম ও কোম্পানিগুলোর পিই রেশিওর অবস্থান দেখলেই বোঝা যায় যে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ উপযোগী হয়েছে। এখনই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সময়। তিনি বলেন, এখন বাজারে সূচক অনেকটা নিচে, যা বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমিয়ে এনেছে। এতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন। তাছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এ্যাক্ট পাস করা হয়েছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিএসইসি অনেককে জরিমানা করছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এ ধরনের নানা সংস্কারের পরও পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়েনি বলে তিনি জানিয়েছেন।
×