ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-মাওয়া সড়কে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১৬ জুন ২০১৬

ঢাকা-মাওয়া সড়কে চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখানে বিভিন্ন যানবাহনে কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে চলছে পুলিশের চাঁদাবাজি। শুধু কাগজপত্র পরীক্ষাই নয়। মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলরত, অটোরিক্সা, লেগুনা, মাহেন্দ্র থেকেও আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। বুধবার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখানের নিমতলা কলাবাগানের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে সিরাজদিখান থানার এসআই মিজানুর রহমান এ চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মামলা ও হয়রানির ভয় দেখিয়ে মহাসড়কে চলাচলরত চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের করে আসছে এই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়াও সড়কে চলাচলরত অটোরিক্সা, লেগুনা, পিকআপ-ট্রাক, মোটরসাইকেল, লরি, ক্যাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন কোম্পানির মালবাহী যানবাহন থেকে ২শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছেন সিরাজদিখান থানার এই এসআই। বুধবার সরজমিনে দেখা গেছে, নিমতলার কলাবাগানের কাছে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি চালাচ্ছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। সামান্য অজুহাতে মামলার ভয় দেখিয়ে চালকদের কাছ দেখে আদায় করছে টাকা। যেই চালক এই পুলিশ অফিসারকে টাকা দিয়ে খুশি করতে পেরেছেন, তিনি মামলার হাত থেকে বেঁচে গেছেন। আর যিনি খুশি করতে পারেননি তাকে দেয়া হয়েছে মামলা। ভুক্তভোগী লিটন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় আমার নামে একটা মামলা থাকা সত্ত্বেও বুধবার মিজান অফিসার মহাসড়কের নিমতলা কলাবাগানের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে আরও মামলার ভয় দেখায়। এ সময় এক হাজার টাকা দিলে আমার মোটরসাইেকেল ছেড়ে দেয়। প্রতাপ নামে একজন মাহেন্দ্র চালক জানান, প্রতিমাসে থানায় এক হাজার করে টাকা দেয়ার পরও শান্তি পাই না। মিজান অফিসার সিগন্যাল দিলেই তাকে ৫শ’ টাকা দিতে হয়। এভাবেই বিভিন্ন যানবাহন থেকে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে চাঁদা আদায় করে সিরাজদিখান থানার এই এসআই মিজানুর রহমান। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার এস আই মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে বিশেষ অভিযান চলছে, তাই চেকপোস্ট বসিয়েছি। চেকপোস্টের নামে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছেন কেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তরে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার চাকরির জীবনে আমি কখনও কারো কাছে টাকা-পয়সা দাবি করিনি। তাই চাঁদা নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) শামসুজ্জামান বাবু বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×