ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী

মাধ্যমিক শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারিত করার কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১৬ জুন ২০১৬

মাধ্যমিক শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারিত করার কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারিত করার কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে। বাস্তবতা ও শিক্ষা ব্যবস্থা সুবিধা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় রেখেই আপাতত প্রাথমিক স্তর ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা হবে। বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারণের উদ্দেশ্যে ১ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারণের উদ্দেশ্যে ১ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিদ্যমান শিক্ষানীতি অনুসারে নবম শ্রেণী হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর হিসেবে বিবেচিত হবে। মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কোচিং নীতিমালা-২০১২ বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কোচিং বাণিজ্য জড়িত শিক্ষকগণদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সকল কমিটি তৎপরতায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাস্তবতা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষক দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এরূপ শিক্ষকদের বদলি-পদায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কোচিং নীতিমালা ২০১২ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। সরকারী দলের এ কে এম রহমতুল্লাহের প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশের সরকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বেতনের হার হচ্ছে- ৬ষ্ট শ্রেণীতে ৮ টাকা, ৭ ও ৮ম শ্রেণীর জন্য ১০ টাকা, ৯ ও ১০ম শ্রেণীর জন্য ১২টা, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর (কলা ও বাণিজ্য) জন্য ১৬ টাকা এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর (বিজ্ঞান, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, সঙ্গীত) জন্য বেতন হচ্ছে মাত্র ১৮ টাকা। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ছাত্র-সংসদ নির্বাচন বিষয়ে বেগমের হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির এক গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকা রয়েছে। গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক। দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে যেমন ছাত্র সংসদ কার্যকর ছিল তেমনি বর্তমানেও কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ রয়েছে। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা না থাকলে গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতির ধারা বজায় রাখার জন্য দেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×