ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের যাত্রী বহনে নামানোর তোড়জোড়

কেরানীগঞ্জের ডকগুলো ব্যস্ত পুরনো লঞ্চ মেরামত কাজে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৬ জুন ২০১৬

কেরানীগঞ্জের ডকগুলো ব্যস্ত পুরনো লঞ্চ মেরামত কাজে

রাজন ভট্টাচার্য/সালাউদ্দিন মিয়া ॥ ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা নদীবন্দরসহ আশপাশ জুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নদীতে ভাসমান অবস্থায় লঞ্চের ভেঙ্গে যাওয়া বিভিন্ন অংশ ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে জোড়া দেয়া হচ্ছে। মেঝে কিংবা কার্নিশে লাগানো হচ্ছে লোহার পাত। পরিবর্তন করা হচ্ছে ইন্টেরিয়ার ডিজাইনে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, বুড়িগঙ্গার পাড়ে কেরানীগঞ্জের তেলপট্টি ও কেরসিনপট্টি অংশের ইয়ার্ডে বেশ কয়েকটি লঞ্চের নিচের অংশও মেরামত করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অন্তত চার মাস ধরে এসব লঞ্চ মেরামতের কাজ চলছে। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে নৌযানের নিচের অংশ সংস্কারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি! সব মিলিয়ে এলাকার ২৭ ডকেই এখন কাজের শেষ নেই। এক কথায় বললে, এলাকা জুড়েই লক্কর ঝক্কর নৌযানগুলো চলছে মেরামতের। লোহার পাত, রড আর মেরামতের শব্দে কান একেবারেই ঝালাপালা। রাতদিন ফুসরত নেই জোড়াতালির প্রকৌশলীদের। বুধবার কেরানীগঞ্জ ডকইয়ার্ডসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শতাধিক লঞ্চ কোনরকমে সংস্কারের মাধ্যমে চালানোর উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। মাসের পার মাস বন্ধ থাকা লঞ্চগুলোও মেরামতের দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ঈদে এসব লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছুটবে বিভিন্ন গন্তব্যে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে নৌপথে ছুটতে হবে ঘরমুখো মানুষদের। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ-এর সাতটি পোর্ট থেকেই প্রতিবছর ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চদিয়ে যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও যাত্রী অধিকার নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত নেতৃবৃন্দ। তবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিটনেসবিহীন কোন লঞ্চ ঘাট থেকে ছাড়া হবে না। তাছাড়া চালকদের লাইসেন্স আছে কিনা তাও নিশ্চিত করা হবে। যাত্রী নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেটসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রাখার কথাও বলছেন তারা। নিয়মিত সংস্কারের অংশ হিসেবে বেশ কিছু লঞ্চ বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে মেরামতের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, আরিচা, বরিশাল ও খুলনা এই পোর্টগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে কোন ঘাটেই আনফিট লঞ্চ ভিড়তে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এবার লক্কড় ঝক্কড় কোন লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না বলেও জানান তিনি। সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সদরঘাট থেকে ২২ জেলার ৪১টি রুটে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করছে ১৮০টি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরাই মূলত নৌপথে যান। ঈদ উৎসবে প্রতিবছরই ৩৫ থেকে ৪০ লাখ যাত্রী শুরুমাত্র ঢাকা নদী বন্দর থেকে নাড়ির টানে ছুটেন বাড়ির দিকে। তাই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যেন কোনভাবেই চলতে না পারে এমন দাবি সবার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। কিন্তু অন্তত চারদিন আগে কোন সিদ্ধান্তই কর্যকর দেখা যায় না। পুরো অরাজগতার মধ্য দিয়ে চলে নৌ সেক্টর। বেশি মানুষের চাপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সবকিছু। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ না চালানো, ডেকে যাত্রী না বসানো, পরিবহন সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্স ও লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেট এর কোন কিছুই দেখা হয় না। বাড়তি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, নদীর মাঝখানে যাত্রী ওঠানো, বাড়তি যাত্রী বহন, ছাদে যাত্রী নেয়া, নদীতে মোবাইল কোর্ট, নিরাপত্তা বাহিনীর টহল এর কোনকিছুই শতভাগ কার্যকর হয় না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। ঈদের আগে ফিটনেস লাইসেন্স নেয়ার জন্য প্রায় সব লঞ্চগুলোই করা হয় সংস্কার করা হয় এমন বক্তব্য খোদ ডক ইয়ার্ড সংশ্লিষ্টসহ মেরামতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও লঞ্চ কর্মচারীদের। বুধবার ভাসমান ডকে সংস্কার করতে দেখা গেছে এমভি মিতালী-৬। এমভি মিতালী-৪ এর সুপারভাইজার মজনু জানান, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চটি সংস্কারের কাজ চলছে। এজন্য অন্তত ১৫ দিন ধরে কোন যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না। তিনি জানান, লঞ্চের যেসব স্থানে ভাঙ্গা, বা ক্ষয় হয়ে গেছে সেগুলো দেখে দেখে মেরামত করা হচ্ছে। মেরামত করা না হলে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চটি আনফিট দেখানো হলে আর চালানো যাবে না। তিনি বলেন, বছরের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হলো দুই ঈদ। তাই প্রতিটি ঈদের আগে লঞ্চের ফিটনেস নিশ্চিত করতে মেরামত জরুরী হয়ে পরে। পাতার হাট-৫ এর সুপারভাইজার নাসির শেখ জানান, ঈদ প্রস্তুতি উপলক্ষে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। খুববেশি মেরামতের প্রয়োজন নেই, তাই ভাসমান ইয়ার্ডেই কাজ চলছে। নিজেদের লঞ্চটি মেরামতের পর পুরোপুরি ফিট হবে এমন দাবি করে তিনি বলেন, লঞ্চের রঙ থেকে শুরু করে সব ধরনের ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। শাহরুখ খান-১ এর পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা মিনহাজ জানালেন, ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। তখন লঞ্চের ফিটনেস দেখার চেয়ে সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় ঘরমুখো মানুষদের গন্তব্যে পৌঁছানো। তিনি বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে নিরাপদ নৌ-যাত্রা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এমভি দীঘল, মেসার্স আল ফারাবী শিপিং লাইন্স-পাতারহাট-৫ সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লঞ্চ সদরঘাটের পুরো এলাকাজুড়ে মেরামত করতে দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় মেরামতের পাশাপাশি লঞ্চগুলোতে নতুন করে চলছে ঘসামাজার কাজ। তারপর চলছে চুনকাম। এরপর বাহারি রঙে সাজানো হচ্ছে নৌযান। কেন এই ব্যবস্থা? এমন প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমত হলো চকচকে রঙের মধ্যে নৌ-যানের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও তা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। এতে যাত্রী পরিবহনে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় না। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বাহারি রঙ যাত্রীদের আকৃষ্ট করে অনেক বেশি। অর্থাৎ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যও রয়েছে নতুন করে রঙ করার পেছনে। বিভিন্ন রুটে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যান ॥ সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের জরিপ শাখার সাম্প্রতিক সরকারী হিসেবে ৫ হাজার ২৭২টি লঞ্চকে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য চিঠি দেয়া হয়। ২ হাজার ৮২টি নৌ-যান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাগজপত্র জমা দিলে ১ হাজার ৩৫৪টি লঞ্চকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে এদের সার্ভে-সনদ এবং রুট পারমিট বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন মহলে সুপারিশ পাঠালেও তা অজ্ঞাত কারণে কার্যকর হয়নি। এসব লঞ্চগুলো দেশের বিভিন্ন নৌ রুটে চলাচল করছে বলে জানা গেছে। ২০০৫ সালে কোকো-৪ লঞ্চসহ মোট ৫২৬টি লঞ্চকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে নোটিস দেয়া হয়েছিল। আগের বছর ত্রুটিপূর্ণ ২৭৭টি লঞ্চকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয় আরও ৫৫৪টি লঞ্চ। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮টি লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৭ নবেম্বর নাজিরপুরে ডুবে যাওয়া এম ভি কোকো-৪ লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা ছিল ৪৪৬ জন। কিন্তু লঞ্চটিতে আড়াই হাজার যাত্রী বহন করা হয়েছিল। ২০০৫ সালের ১৫ মে আরিচার যমুনা নদীতে ৪০০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া এম এল রায়পুরা লঞ্চের ধারণক্ষমতা ছিল এক শরও কম। দুর্ঘটনায় পতিত এম এল প্রিন্স অব পটুয়াখালী, চানপুর, এম ভি সালাহউদ্দিন, এম ভি নাসরিন লঞ্চেও ধারণক্ষমতার মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিল। অতি মুনাফার লোভে মালিকরা অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামে। তাদের সিন্ডিকেট বাই রোটেশন পদ্ধতিতে প্রতিটি নদীবন্দর বা ঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল নির্ধারণ করে। জানা গেছে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত না করেই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সার্ভে-সনদ দিয়ে থাকেন। যাদের সার্ভে-সনদ নেই, তারা টাকার বিনিময়ে মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে টোকেন সংগ্রহ করে লঞ্চ পরিচালনা করেন। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ এবং সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার জরিপ রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। এসব কারণে ১৪ বছরে নৌ-দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় সাড়ে তের হাজার মানুষ। ঈদে যাত্রী নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ইতোমধ্যে সব রুটে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌ সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার সদরঘাটের পরিসর বেড়েছে। বড় করা হয়েছে টার্মিনাল। প্রথম বারের মতো যাত্রীদের জন্য টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে বুথও। আনফিট লঞ্চ কোন নদী বন্দরেই ভিড়তে দেয়া হবে না একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল নদী বন্দরে লঞ্চগুলোতে বাড়তি যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে কিনা তা দেখতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক ম্যাজিস্ট্রেট দেয়া হবে। থাকবে মোবাইল কোর্টও। সব ফেরী ঘাটে থাকছে প্রয়োজনীয় চেকিং। আনফিট লঞ্চ ও চালক কোনটাই এবছর এলাও করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। নিরাপদ নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আশীষ কুমার দে জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিবছর ঈদ আসতেই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর হয়। মন্ত্রণালয়ের ঈদ-ব্যবস্থাপনা বৈঠকে অনেক সিদ্ধান্ত ও নেয়া হয়। কিন্তু এতো অল্প সময়ে অধিকাংশই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। ফলে নিরাপত্তা-ঝুঁকি থেকেই যায়। এবার বর্ষা ও ঝড়ো মৌসুমে পবিত্র ঈদু-উল-ফিতর উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে এবার নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এখন থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার, নৌপথে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি এবং এ কাজে নৌপথসংশ্লিষ্ট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। যাতে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে কোন নৌযান চলতে না পারে। তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন মারা গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রলার, ছোট লঞ্চ এবং সাধারণ পণ্য ও বালুবাহী জাহাজ ছিল। আর চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিচ্ছিন্ন ১৭টি দুর্ঘটনায় ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে বড় ঘটনা হচ্ছে মে মাসের শেষদিকে কিশোরগঞ্জের ঘোড়াউত্রা নদীতে ট্রলার ডুবিতে ৫ জন মারা যায়। ১৫ রোজা থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকেট ॥ ঢাকা নদী বন্দরের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, ঈদে ঘরমুথো যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন টার্মিনালে বসানো হয়েছে ৩৫টি টিকেট কাউন্টার। এ সকল কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে কেবিনের টিকেট। ১৫ রোজা থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। এ ছাড়া ও বসানো হচ্ছে ৬টি নতুন পন্টুন। এর মধ্যে ২টি লালকুঠি, ১টি ওয়াইজ ঘাট, ৩টি বসানো হবে মিলব্যারাক এলাকায়।
×