ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবনা ও যশোরে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৬ জুন ২০১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবনা ও যশোরে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, পাবনার ঈশ্বরদী ও যশোরের কামালপুরে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন কথিত ডাকাত এবং একজন হত্যা মামলার আসামি। মঙ্গল ও বুধবার গভীর রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এছাড়া যশোরের ঝিকরগাছার কপোতাক্ষ তীর থেকে একই দিন পুলিশ আরও তিনটি ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে তারা নিহত হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জীবন মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে নিহত জীবন একজন ডাকাত। বুধবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বাড়িউড়া নামক স্থানে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নিহতের বাড়ি সরাইলের শাহবাজপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামে। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের পাঠানো। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ভোররাতে বাড়িউড়া বাজারের পাশে সেতুর কাছে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে সরাইল থানার একটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের ‘বন্দুক যুদ্ধে’ জীবন মিয়া ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী ॥ পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল হত্যার অজ্ঞাতনামা প্রধান আসামি রুবেলকে (৪৫) ঘটনার ৪শ’৩০ দিন পর ঈশ্বরদী থানা পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকশীর হঠাৎপাড়ার নিকটে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। নিহত রুবেল সেদিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। যশোর ॥ যশোরেও পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে যশোর-মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটা বাজারের কাছে কামালপুরে কথিত এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, ডাকাতি প্রস্তুতিকালে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানায়, বুধবার ভোররাতে একদল ডাকাত যশোর-মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটা বাজারের কাছে কামালপুরে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮/১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। জবাবে পুলিশও চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবককে (২৮) উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি গাছি দা, ১টি রাম দা ও দড়ি উদ্ধার করেছে। তিন ক্ষতবিক্ষত লাশ ॥ এদিকে যশোরের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ তীর থেকে ৩টি ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রামবাসী গণপিটুনি দিয়ে এদের হত্যা করেছে। তবে গ্রামবাসী জানে না, কারা গণপিটুনি দিয়েছে এবং কার বাড়িতে এরা ডাকাতি করতে গিয়েছিল। বুধবার ভোরে ঝিকরগাছার কপোতাক্ষ তীরের কৃষ্ণনগর গ্রামের বঙ্গবন্ধু পার্কের মধ্যে থেকে এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিন বিকেল পর্যন্ত তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে তারা কপোতাক্ষ তীরের কৃষ্ণনগর গ্রামের বঙ্গবন্ধু পার্কের মধ্যে তিনটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের একজনের বয়স ৩০-৩২ এবং অপর দুজনের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। তাদের মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত থাকায় গুলি না ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা বোঝার উপায় ছিল না। তবে মাথা ও মুখম-ল ক্ষতবিক্ষত হলেও শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আর পার্কের মধ্যে সামান্য দূরত্বে তিনটি স্থানে পর পর লাশগুলো পড়ে ছিল। আর তিন স্থানের ছিল অনেক জমাট বাঁধা রক্ত। পরে সকাল ৮টার দিকে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সকাল থেকে আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ মরদেহগুলো দেখলেও কেউ তাদের শনাক্ত করতে পারেনি।
×