ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পৈশাচিকতার যাত্রা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৬ জুন ২০১৬

পৈশাচিকতার যাত্রা

সঞ্জয় দেবনাথ একের পর এক লোমহর্ষক হত্যকা-ে শঙ্কিত সবাই। কে কখন কার গুলি, চাপাতির আঘাতে মারা যায় এ আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়ায়। একই দিন নাটোরের বনপাড়ায় একজন খ্রিস্টান ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসব টার্গেট কিলিং চলছেই। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে প্রিয় স্বদেশ। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বেছে বেছে হত্যা কিসের ইঙ্গিত? দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে কাদের লাভ? ঘোলা পানিতে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির ফাঁকে একের পর এক হত্যা করে কোন পক্ষ পুষ্ট হচ্ছে এসব মোটেই বিচ্ছিন্ন বলে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। যেখানে উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ জনগণ কিসের ভিত্তিতে নিরাপদ বোধ করবে নিজেদের? চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বোমা হামলা সম্পর্কে দেশবাসী পরিচিত ছিল। তখন বোমাবাজিকে, জঙ্গী তৎপরতাকে ‘মিডিয়ার সৃষ্টি’ হিসেবে বলা হলেও তা বুমেরাং হয়েছে। এখন আমরা প্রত্যক্ষ করছি চাপাতি আর গুপ্ত হত্যার তা-ব। বাদ যাচ্ছে না কেউ। বিচ্ছিন্ন নয়, এটা নিরবচ্ছিন্ন ঘটনার অংশ বললেও অত্যুক্তি হবে না বোধহয়। হত্যার পৈশাচিকতার অবসান চাই, যে কোন মূল্যে। যে বা যারাই জড়িত থাক, দৃষ্টান্তমূলক সাজা দৃশ্যমান হওয়া চাই। নচেত যে পৈশাচিকতার গহ্বরে বাংলাদেশ রয়েছে, তা থেকে উত্তরণের কোন সুযোগ থাকবে না। আমরা তলিয়ে যাব অতল আঁধারে যা মোটেই কাম্য নয়। ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে
×