ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ টার্গেট কিলিং

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৬ জুন ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ টার্গেট কিলিং

রোমেনা লেইস বেদনায় নীল হয়ে যাই। থেকে থেকে ভেসে ওঠে সন্তান সঙ্গে নিয়ে হেঁটে যচ্ছেন নিরিবিলি সকালে এক মা। ভিডিও ফুটেজে দেখা এই দৃশ্য আর বাচ্চার সামনে মাকে কুপিয়ে, গুলি করে হত্যা। এক গৃহবধূর মিষ্টি হাসিমাখা মুখ আর এক স্বামীর অসহায় বুকভাঙ্গা আর্তি। যে শিশুটির সামনে তার মাকে হত্যা করা হলো তার ভবিষ্যত কতটা ট্রমাটিক হবে? আমাদের দেশে এমন আইসিস মার্কা হত্যাকা- ঘটছে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। একের পর এক হত্যাকা- ঘটছে। বিচার হচ্ছে না। হত্যাকারী আর অপরাধীচক্র প্রতিদিন সাহসী হয়ে উঠছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্ত করে পরবর্তী পর্ব থেমে থাকছে কেন? কেন বিশ্বজিৎ, দীপন তন্ময় মিনহাযসহ একের পর এক হত্যাকা- ঘটে চলেছে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মিনহাজ ও তন্ময় হত্যাকা-ের পর চট্টগ্রাম নগরীতে সৎ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তার নিরীহ স্ত্রী মিতুর নৃশংস হত্যাকা- গোটা দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। একসময় ফেলুদা পড়তাম। আরথার কোনান ডোয়েলের শার্লক হোমসও। আর দস্যু বনহুর। তারপর টিভিতে দেখতাম হাওয়াই ফাইভ ও, সিআইডি। গোয়েন্দারা কিভাবে ছিন্ন করে আনে রহস্যজাল। অবাক হয়ে যেতাম। অপরাধী পর্যন্ত পৌঁছে যেত। বন্দী করে ফেলতো দুধর্ষ অপরাধীকেও। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ কি এতই অযোগ্য? তনু হত্যার রহস্যের জট খুলতে পারেন না? কেন যেন মনে হয় এর পেছনে কোন কিন্তু আছে। কোন কালোহাত এর নিয়ন্ত্রণে। তাই কোন তদন্তই শেষ পর্যন্ত অপরাধী পর্যন্ত পৌঁছায় না। এই নিষ্ক্রিয়তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। হত্যা পরিকল্পনা বেশ ঠা-া মাথায় করা হয়। কিলার ধরা পড়লে হত্যা না করে তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনাকারী কারা তা বের করা জরুরী। আন্দাজ করে কিছু বলা উচিত না। বিষণœ হয়ে দেখলাম একজন স্বামী তার দুই সহকর্মীর কাঁধে ভর দিয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীর নামাজে জানাজা পড়ছেন। বাচ্চাগুলোর কান্না না শুনেই বুকে শেলের মতো বিঁধছে। একটি পত্রিকায় লিখেছে আগের দিন স্কুলের একটা এসএমএস পেয়েছিলেন মিসেস বাবুল আক্তার যেখানে স্পেশাল এসেম্বলী এটেন্ড করতে সাড়ে সাতটায় বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে বলা হয়েছিল। ভদ্রমহিলা যদি আর একজন গার্জিয়ানকে জিজ্ঞেস করতেন তাহলেই বিষয়টা যে ভুয়া তা জানতে পারতেন। এই মৃত্যু উপত্যকা কী আমার স্বদেশ? হিন্দু পুরোহিত হত্যা করে হিন্দু মুসলিম বিরোধ তৈরির চেষ্টা চলছে। কেন? ক্যান্সার সারাতে হলে সার্জারি করেই শেষ হয় না। কেমো দিতে হয় পুরোপুরি সারাতে। সুতরাং ক্রসফায়ারে শেষ হবে না। অপরাধের মূল উৎপাটন করতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে। বিচার করুন। বিশ্বজিৎ, দীপনসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মিনহাজ ও তন্ময় হত্যাকা-ের পর চট্টগ্রাম নগরীতে সৎ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তার নিরীহ স্ত্রী মিতুর নৃশংস হত্যাকা-সহ সকল হত্যাকা-ের বিচার করুন। অবাক হই- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যথারীতি বলছেন, দেশে ল এ্যান্ড অর্ডার বেশ ঠিকঠাকই আছে। এইসব টুকটাক খুন টুন সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নিউইয়র্ক থেকে
×