বিডিনিউজ ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দিয়ে কোন দেশ এগুতে পারে না মন্তব্য করে এর বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের দু’দিনব্যাপী বর্ধিতসভা ও কর্মশালা শেষে মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির সব পর্যায়ের নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
এ সময় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেব না। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ করে কারও মঙ্গল করা যায় না, কোন দেশ এগুতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় এসেই বলেছিলাম, বাংলাদেশের মাটি থেকে কোন দেশে ইনসারজেন্সি করতে দেব না। দেই নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। কারও কাছে আমরা মাথা নত করব না, শুধু আল্লাহ ছাড়া।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সততার শক্তি অনেক বেশি। যার ভেতর সততা থাকে, সে সকল বাধা মোকাবেলা করতে পারে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘সম্ভাব্য’ দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্ব ব্যাংক। দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় সরকার।
এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম, প্রমাণ করুক কোথায় দুর্নীতি হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কখনও ভাবেনি যে, আমাদের মতো দেশের নেতা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
তাদের সঙ্গে অনেক বড় দেশ ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী। এতটুকু দুর্বলতা থাকলে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না।
কারও নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের এক সুদখোর ছিল, তার অপকর্ম ঢাকতেই এটা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বক্তব্য রাখেন।