ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার প্রেসসচিব মারুফ কামালের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নির্যাতনের মামলা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৫ জুন ২০১৬

খালেদার প্রেসসচিব মারুফ কামালের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নির্যাতনের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার স্ত্রী নির্যাতনের দায়ে আলোচনায় এসেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল। বেধড়ক মারধরের কারণে স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে রীতিমতো মামলা ঠুকে দিয়েছেন। ইতোপূর্বে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই প্রেসসচিবের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের যোগাযোগ থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়েছিল। মারুফ কামাল খানের ছেলে রিসাদ কামাল খান নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনটির পোস্টার বিলি ও দেয়ালে মারার সময় হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। এমনকি ওই সময় পুরো পরিবারটির সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীর ছাড়াও অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, সোমবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মারুফ কামাল খানের স্ত্রী তানিয়া খান থানায় হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় স্বামীকে এজাহারনামীয় আসামি করেন তানিয়া খান। মামলা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মামলার এজাহারে মারুফ কামালের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। স্ত্রী তানিয়া খান বলেছেন, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে এবং প্রতিবাদ করায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এমনকি বিভিন্ন রকম হুমকি ছাড়াও প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখাত। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে অন্য নারীদের পরকীয়ার সম্পর্কের সূত্রধরে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। এ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছে। অন্য নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সূত্র ধরেই সোমবার বিকেলে মোহাম্মপুরের বাসায় স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মারুফ কামাল খান তাকে বেধড়ক মারধর করেন। মারুফ কামাল খান স্ত্রীর চুল ধরে টেনে ফেলে দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। তানিয়া খান বলেন, তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বাসার কেয়ারটেকার তাঁকে সোহরাওয়ার্দী হাপাতালে ভর্তি করেন। রডের আঘাতের কারণে মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মাথায় ১৪টি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আসছেন। ত্রিশ বছরের সংসারে অধিকাংশ সময়ই তার এসব নির্যাতন সন্তানদের দিকে তাকিয়ে মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়েছে। এ বিষয়ে মারুফ কামাল খানের কোন বক্তব্য জানা যায়নি। বিভিন্ন নাশকতার মামলার আসামি হওয়ার কারণে মারুফ কামাল খান নিয়মিত বাসায় থাকেন না। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এবার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আলোচনা এসেছেন। ইতোপূর্বে ছেলের সূত্রধরে আলোচনায় এসেছিলেন।
×